আইসিসির নিয়ম বলছে, বিশ্বকাপের টিকিট ব্ল্যাকে বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু ইংল্যান্ডের ক্রিকেটের নিয়ম আবার অন্য কথা বলছে। আপনি একটা টিকিট কিনলেন। চাইলে সেই টিকিট আবার আপনি বিক্রিও করে দিতে পারেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী এটা কোনও বেআইনি কাজ নয়। সব থেকে মজার কথা, যে কেউ চাইলে সেই টিকিট নিজদের ইচ্ছামতো দামে বিক্রি করতে পারেন। ভিয়াগোগো- নামক ইংল্যান্ডের একটি ওয়েবসাইট এমন নিয়মেরই সুযোগ নিচ্ছে পুরোদমে। বিশ্বকাপের একটি টিকিট তারা যে দামে কিনল তার থেকে প্রায় ১০৪ গুণ বেশি দামে বিক্রি করল। কিন্তু কোনও আইনি জটিলতায় তাদের পড়তে হল না। উল্টে টিকিট বিক্রি করে তারা নিজেরাই ফলাও করে প্রচার করল।
এজেন্ট সেলিং করে টিকিট বিক্রি করে সেই ওয়েবসাইট। কাউন্টার থেকে টিকিট কিনে তারা সমর্থকদের মধ্যে টিকিট বিক্রি করে। কোনও হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে টিকিটের চাহিদা প্রবল আকার নিলে তারা সুযোগ বুঝে বিক্রি শুরু করে। অন্য টুর্নামেন্টের সময় তারা টিকিটের আসল দামের থেকে খুব একটা বেশি নেয় না। তবে এবার বিশ্বকাপ তাদের দেশে আয়োজিত হচ্ছে। ফলে সুযোগ ছাড়তে নারাজ সেই ওয়েবসাইট।
ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ ফাইনালের স্বাভাবিক মূল্য ১৫১ পাউন্ড (প্রায় ১৬ হাজার টাকা) হলেও ভিয়াগোগোতে এ ম্যাচের প্রায় ১০০০ টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০২৯ পাউন্ড বা ১৩ লক্ষ ১০ হাজার ২৫৭ টাকা।
আইসিসির ওয়েবসাইট থেকে টিকিট না পেলে অনেক ক্রিকেটপ্রেমীই এই ধরণের ওয়েবসাইটের দ্বারস্থ হবেন। তাদের কিন্তু এতগুলো টাকার বিনিময়েই বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট কিনতে হবে। এদিকে, আইসিসির নিয়মে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, বিশ্বকাপের টিকিট হস্তান্তরযোগ্য নয় এবং তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে আইসিসি এবার তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে।
বিশ্বকাপ আয়োজকদের এক মুখপাত্র বলেছেন, ''আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করছি। দ্বিতীয় শ্রেণীর সাইটদের এভাবে চড়া দামে টিকিট বিক্রি সমর্থনযোগ্য নয়। তা ছাড়া এগুলো আমাদের শর্তাবলী লঙ্ঘন করছে।'' ভিয়াগাগো-র মতো সাইটগুলো আবার আইসিসি-র নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করার কথা ভাবছে।