নতুন জাতের ব্রোকলি নামের শীতকালিন সবজি চাষ হচ্ছে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায়। ব্রোকলি চাষে ইতিমধ্যে লাভবান হতে শুরু করেছে কৃষকরা।
ব্রোকলি আকারে ফুলকপির মত হলেও ফুলগুলো সাদার পরিবর্তে পাতার রঙের মত অনেকটা সবুজ। স্বাদে ও গুণে অসাধারণ। প্রতি পিস ব্রোকলি ওজনে ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত হয়। বিভিন্ন বাজারে প্রতি পিস ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
পাটকেলঘাটার নগরঘাটা, মিঠাবাড়ী, ধানদিয়া, ফুলবাড়ি গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে এ বছর এখানকার কৃষকরা এই সবজির চাষ শুরু করেই এলাকায় সাড়া জাগিয়েছে। সাধারণ ফুলকপির চেয়ে আবাদে খরচ কম আবার বেশি দামে বিক্রি হওয়ায় এ নতুন সবজি চাষে ঝুঁকছে এলাকার কৃষকরা।
পাটকেলঘাটার বেসরকারি সংস্থা 'উন্নয়ন প্রচেষ্টা'র কৃষি কর্মকর্তা নয়ন হোসেন ব্রোকলি চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও উদ্ভুদ্ধকরণ করে বীজ সরবরাহ করেছেন বলে সরেজমিনে কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায়।
নগরঘাটা গ্রামের আনসার আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম উন্নয়ন প্রচেষ্টার নীলকমল মহিলা সমিতির একজন সদস্য। তিনি সমিতির মাধ্যমে ব্রোকলি বীজ সংগ্রহ করে ২৫ অক্টোবর ১২০০ পিচ ব্রোকলী ৮ শতক জমিতে রোপন করেন। এতে তার খরচ দাড়ায় সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা। ইতোমধ্যে তিনি ৪/৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। প্রতি পিস ৭০০-১০০০ গ্রামের ব্রোকলি ২০-২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান। ৬০-৭৫ দিনের মধ্যে এ সবজি চাষ করে তিনি ২৪-২৫ হাজার টাকা বিক্রি করবেন বলে আশা করেন।
এ ছাড়া এ গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম, আবুল হোসেন, আব্দুল মজিদ, জিয়াউর রহমান, রেজাউল করিমসহ অনেকে এ চাষ করেছেন বলে জানা যায়।
উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষি কর্মকর্তা নয়ন হোসেন জানান, ইউরোপিয়ান ফসল লিভিয়া জাতের ব্রোকলি সাতক্ষীরা জেলায় এই প্রথম চাষ হচ্ছে। এ সবজি চাষ করে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়া যায়।
এ ছাড়া এতে অধিক পরিমাণ পুষ্টিগুণ ফুলকপির চেয়ে অইেশগুণ বেশি রয়েছে। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন কে পাওয়া যায়। সাদা ফুলকপিতে ভিটামিন এ নাই। ব্রোকলিতে ভিটামিন এ থাকায় এ সবজি থেকে চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় বলে তিনি জানান।