গাজীপুরের কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রশ্নবানে জর্জরিত হলেন ডাকসুর সাবেক জিএস-ভিপি, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি আখতারুজ্জামান।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন তিনি ভোট দিতে আসেননি? বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে কার্যকরি কমিটির বর্ধিত সভায় এমন প্রশ্ন তুলেন তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ।
আকবর হোসেন খান পাঠান (চিত্র নায়ক ফারুক) ঢাকা-১৭ আসনের আ'লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়েও দলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি ওইদিন স্থানীয় আ'লীগ মনোনীত প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকিকে ভোট দিয়ে যান। অথচ আখতারুজ্জমান ভোট দিতে আসেননি। এসময় সাবেক ওই এমপিকে ভোট দিতে না আসার যথাযথ জবাব চান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তবে সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
উপজেলা আ'লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি'র সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, তাঁতী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, গাজীপুর জেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি এস.এম নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশরাফী মেহেদী হাসান, কালীগঞ্জ উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি ভূইয়া, সহ-সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ, সদস্য মাজেদুল ইসলাম সেলিমসহ জেলা, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশ সফল ও দলীয় সাংগঠনিক অবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান মেহের আফরোজ চুমকি এমপি।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ) আসনে মেহের আফরোজ চুমকি, আখতারুজ্জমান ও আকবর হোসেন খান পাঠান (চিত্র নায়ক ফারুক) আ'লীগের দলীয় মনোনয় চান। পরে কেন্দ্রীয় আ'লীগের সিদ্ধান্তে ওই আসনে মেহের আফরোজ চুমকিকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় এবং তিনি বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অন্যদিকে, আকবর হোসেন খান পাঠানকে ঢাকা-১৭ আসনের আ'লীগের দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। তিনিও বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সাবেক এমপি আখতারুজ্জামান বর্তমান গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।