মধ্য রাতে ইউটিউবার সালমান মুক্তাদিরের মিরপুর ডিওএইচএস’র বাসায় এসে ভেতরে ঢুকতে না পারার কারনে ইট নিক্ষেপ করে জানালার কাঁচ ভাঙ্গার কারণে আবার আলোচনায় এসেছেন মিস বাংলাদেশ জেসিয়া ইসলাম। এই ঘটনার পর থেকে অনলাইন ও অফ লাইনে চলছে ব্যাপক সমালোচনা ও গুঞ্জন। অনেকেই ভাবছেন তবে কি ভাঙ্গন ধরেছে এই দুই আলোচিত প্রেমিক জুটির? ঘটনার পরে প্রথম গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন জেসিয়া ইসলাম। তিনি বলার চেষ্টা করেছেন ঐদিন আসলে কি ঘটেছিলো।
তাদের দেড় বছরের অধিক সময়ে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে জেসিয়া ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রেমের সম্পর্কের বয়স দেড় বছরের। কিছুদিন ধরে সে আমার কাছে কিছু বিষয় লুকাচ্ছিল। আর সেদিন আমার সঙ্গে সালমান একটা বিষয়ে মিথ্যা বলে, বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি ওর বাসায় যেতে বাধ্য হই। সে ভাবতে পারেনি, এত রাতে আমি যাব। কিন্তু আমার আর কোনো উপায় ছিল না।’
বাড়ির প্রধান ফটকে ধাক্কা ও ইট ছুড়ে কাচ ভাঙার কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেসিয়া বলেন, ‘আমি তো শুরুতে এমনটা করিনি। আমি যখন সালমানের বাড়ি যাই তখন রাত দুইটার কাছাকাছি। প্রথমে কলবেল দিয়েছিলাম। এরপর ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করি। কোনোভাবেই কেউ আমাকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। প্রধান ফটক খোলার অনুরোধ করলেও গ্যারেজে থাকা তাঁর পরিবারের কেউ তা করেনি। সালমান ও তাঁর পরিবারের লোকজন আমার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙতে বাধ্য করে। আমি ভেবেছিলাম, জোরে নক করলে হয়তো তারা গেট খুলবে। আমাকে দু্ই ঘণ্টার মতো বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখে।’
সালমান মুক্তাদিরের সঙ্গে দেড় বছরের প্রেমের সম্পর্ক একটা বড় শিক্ষা বলে মনে করছেন জেসিয়া। তিনি বলেন, ‘এই অধ্যায় আপাতত বন্ধ। আমি এখন থেকে কাজ নিয়ে থাকতে চাই। আমার অনেক কাজের সুযোগ থাকলেও করা হয়নি। আমি এখন কাজ আর পড়াশোনায় মন দেব। নিজেকে সময় দেব। নিজেকে ভালোবাসতে শিখব।’
সালমানের সঙ্গে প্রেমের প্রসঙ্গে জেসিয়া বলেছিলেন, মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার আগে থেকেই তাঁদের সম্পর্ক। বলেছিলেন, ‘পড়াশোনা শেষ হলে কিংবা তার আগেও বিয়ে করতে ফেলতে পারি।’
উল্লেখ্য, এই ব্যাপারে কথা বলার জন্যে সালমান মুক্তাদিরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নাই।