Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

হতাশ হতে না করলেন ফখরুল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:০৭ PM
আপডেট: ১৬ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:০৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অলমগীর। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, কোনোমতেই যেন আমাদের মধ্যে হতাশার জন্ম না হয়, সে ব্যাপারে সজাগ  থাকা। ’

আজ বুধবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রয়াত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে সচেতনভাবে জাতীয় ঐক্য আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে থাকেন, এককভাবে এই ভয়াবহ দানবের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে বিজয় লাভ করবেন, তাহলে আমি মনে করব, তিনি সঠিক সত্যটা উপলব্ধি করতে পারছেন না, এটাই বাস্তবতা।

জনগণের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘আজকে এই ভয়াবহ দানব, যারা সমস্ত অর্জন ধ্বংস করে দিচ্ছে, যারা একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করে দিচ্ছে, গণতান্ত্রিক চেতনা ধ্বংস করে দিচ্ছে, তাদের পরাজিত করতে জনগণের ঐক্যর কোনো বিকল্প নেই

জোটসঙ্গী জামায়াত প্রসঙ্গে ওঠা বিভিন্ন মহলের প্রশ্নের পরোক্ষ জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেক প্রশ্ন আছে। রাজনীতিতে প্রশ্ন থাকবেই। প্রশ্ন না থাকলে রাজনীতি হবে না। রাজনীতিতে এগুলো চর্চার প্রয়োজন আছে।’ তিনি বলেন, ‘কোন পরিস্থিতিতে, কোন পর্যায়ে কোন উদ্যোগ সঠিক, কোন উদ্যোগ বেঠিক, সে বিষয়ে আলোচনা আছে। সে আলোচনার জন্য বিভিন্ন ফোরামও রয়েছে। আমরা আশা করব, সে সমস্ত ফোরামে সঠিকভাবে আলোচনা হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তবে একটি কথা আপনাদের স্পষ্ট করে বলতে চাই, যারা যে কথাই মনে করুন না কেন, ঐক্যর কোনো বিকল্প নাই। ২০ দলীয় ঐক্যজোট যখন গঠন হয়, তখনো একই কথা ছিল, ঐক্যফ্রন্ট যখন গঠন করা হয়, তখনো একই প্রশ্ন এসেছে। তারপরও ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের মধ্যে সেতুবন্ধ রচনা হয়েছে। এর প্রয়োজন অবশ্যই ছিল, ঐতিহাসিকভাবে প্রয়োজন ছিল।’

ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, আরও বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন। খালেদা জিয়া খুব পরিষ্কার করে বলে গিয়েছিলেন আমাদের এজিএমে, আমি হয়তো কারাগারে চলে যাব। কিন্তু তোমরা ঐক্য গড়ে তুলবে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে এবং এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গণতন্ত্রকে বিজয়ী করবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি জানি, আমাদের অনেকের বয়স হয়ে গেছে। আমরা ভাবছি, বোধ হয় কিছুই হবে না। অবশ্যই হবে। কারণ, হতাশা শেষ কথা হতে পারে না। আমাদের সামনে নতুন প্রজন্ম আছে। তাদের সামনে বিরাট ভবিষ্যৎ আছে। আরও বেশি করে তারা দেশকে ভালোবাসবে। তারাই এই স্বৈরাচারের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করবে।’

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করনে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার।

Bootstrap Image Preview