আন্দোলন ও নির্বাচনের ব্যর্থতার দায়ে লজ্জা থাকলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার ( ১৬ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
'নির্বাচনে কারচুপির কারণে ওবায়দুল কাদেরকে জাতীর সামনে ক্ষমা চাইতে হবে' বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের এ বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বেপরোয়া গাড়ী চালক। কখন যে একসিডেন্ট করে। সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। যে মহাসচিব ১০ বছরে ১০ মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি। নির্বাচনে ১০টিও আসন পায়নি। আন্দোলন ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ লজ্জা থাকলে তার ( ফখরুল) এর পদত্যাগ করা উচিত।
তিনি বলেন, জনগণ এ অভূতপূর্ব বিজয় যারা প্রত্যাখান করছে তাদের জাতীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুন্দর হয়েছে। নির্বাচনের দিন বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের কোনো এজেন্ট কি নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রতিবাদ করেছে?
টিআইবির নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার বিষয়ে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এ নেতা বলেন, নির্বাচনের দিন টিআইবির কোনো এজেন্ট কি নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিয়ে কথা বলেছে? নির্বাচন নিয়ে এতদিন পর কেনো অলীক, অবিশ্বাস রূপকথার গল্প সাজাচ্ছেন আমরা জানি। এর জবাব দেশের জনগণই দেবে।
এর আগে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে ত্যাগী ও রাজপথে সক্রিয়দের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন মনোনয়নে, তারা অগ্রাধিকার পাবেন।
দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাটের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরও বক্তৃতা করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ প্রমুখ।