Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

যবিপ্রবিতে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন, হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি

যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৮:৪৪ PM
আপডেট: ১৫ জানুয়ারী ২০১৯, ০৮:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


শিক্ষককে হুমকি, শিক্ষক সমিতির মানববন্ধনে হামলা ও উপাচার্যসহ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিত্থা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতি।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক ,কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন পরবর্তী সময়ে সংবাদ সম্মেলনে যবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় যখন পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে, বিশ্ববিদ্যালয় যখন বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হতে চলেছে ঠিক তখনই এক কুচক্রি মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। শহর থেকে মাঝে মাঝে ওহি নাজিল হয়, আর তার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আমার সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কোন দোষ নেই, তাদেরকে দিয়ে শহর থেকে নোংরা পলিটিক্স করানো হয়।

তিনি বলেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হুমকি দেওয়া, শিক্ষকদের মানববন্ধনে বাধা দেয়া ও হামলা করা যেটা অত্তান্ত নিন্দনীয় কাজ।আমার কাছে প্রমান আছে ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে জোর করে রাজনীতি করানো হয়। আর ছাত্র-ছাত্রীরা যে দাবি তুলেছে তার বিষয়ে আমি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, তদন্ত সাপেক্ষে যে রিপোর্ট আসবে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি অনুযায়ী আমি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নিব।

মানববন্ধনে ড. ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, তার বিরুদ্ধে যে বিষয় নিয়ে যে মামলা করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানাওয়াট। তিনি বলেন উক্ত মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেক্স ক্যালেন্ডার ও একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশনা কমিটিতে তার কোনোরকম সংযুক্ততা নেই। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে ফাসানো হচ্ছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ইকবাল কবির জাহিদ, সাধারণ সম্পাদক ড. নাজমুল হোসেন, প্রধান মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ দীপক কুমার মণ্ডল প্রমুখ।

মানববন্ধন পরবর্তী সময়ে শিক্ষকদের সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরবর্তী সময়ে শিক্ষক সমিতির সম্পাদক ড. নাজমুল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, দোষীদের বিচারে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে, বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কোন ক্লাস পরীক্ষা নিবো না। ৭২ ঘণ্টা পরবর্তী সময়ে আমাদের নতুন কর্মসূচি জানিয়ে দিব।

Bootstrap Image Preview