টাঙ্গাইলের সখীপুরে অপহরণের পর প্রায় ২০ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী (১৪) কে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে গ্রেফতার মজিবুর রহমান (৪২) এর তথ্যের ভিত্তিতে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে গ্রেফতার মজিবুর রহমানের দুই দিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
এর আগে সোমবার পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেফতারকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করে।
সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখয়, গত রবিবার রাতে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী আমেনা বেগমকে আসামী করে সখীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের ধলাপাড়া গ্রামের কালিয়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে মজিবর রহমান (৪২) বাদীর দশম শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকে মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে কুপ্রস্তাব দিতো। কিন্তু তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় গত ২৪ ডিসেম্বর কালিয়া বাজারে যাওয়ার পথে মেয়েটিকে অপহরণ করে। এরপর তাকে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায়।
লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনার ২০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও মামলা না করে পারিবারিকভাবে খোঁজাখুঁজি চালাচ্ছিনের বলে দাবি করেন নির্যাতিতার মা।
সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমির হোসেন জানান, রিমান্ডে আনার পর মজিবরের দেয়া তথ্যের ভিক্তিতে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার মজিবরের দুইজন স্ত্রী রয়েছে। তাদের মধ্যে তার প্রথম স্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।