সংখ্যায় যতই কম হোক, বিএনপির সংসদে আসা উচিত: তোফায়েল

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সংখ্যায় যতই কম হোক না কেন বিএনপির সংসদে আসা উচিত। বিএনপি যদি পার্লামেন্টে না আসে তা হলে আবারও একটি ভুল করবে। কেননা মজলুম জননেতা মাওলানা ভাষানীর দল ৭০ এর নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কারণে আজ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ওই দলের অস্তিত্ব আজ নেই। বিএনপির অবস্থাও আজ তাই।

সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা জংশন বাজারে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি যতোই পুনঃনির্বাচনের দাবি করুক এটা বাস্তব সম্মত না। এটা কখনোই হবে না। সোমবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা জংশন বাজারে অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেছেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপি একটি অস্বাভাবিক অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছিল। সামরিক সৈরস্বাশনের মধ্য দিয়ে একটি দল হয়েছে। সেই দল রাজনীতিতে টিকতে পারে না। বিএনপি আস্তে আস্তে ক্ষয়িঞ্চুর পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু বিএনপি অর্থের বিনিময়ে লন্ডনে বসে যে মনোনয়ন দিয়েছে। যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারা ১০ বছর মানুষের সাথে কোন সংযোগ ছিল না। এ ছাড়াও অগ্নিসংযোগ করে, মানুষকে নির্যাতন করে, পুলিশ হত্যা করেছে এতে নেতা-কর্মীরা অনেকেই মামলার আসামী হয়েছে তাই তারা নির্বাচনে জিততে পারেনি। এ সময় ভোলা-বরিশাল ব্রিজের কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ।

উল্লেখ্য, এ ছাড়াও তাদেরকে আরও সহায়তার আশ্বাস প্রদান করা হয়। শনিবার রাতে ভোলার ইলিশা জংশন বাজারে এবং রবিবার রাতে পরাণগঞ্জ বাজারে আগুন লেগে প্রায় ৪৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে যায়। তোফায়েল আহমেদ ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ  করেন এবং তাদের মধ্যে টিন বিতরণ করেন।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক, ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক আরজুসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।