শ্রীমঙ্গলে ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলায় উঠেছে আড়াই মণ ওজনের বাঘাড়, যার দাম হাঁকা হচ্ছে আড়াই লাখ টাকা। সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাওড়-নদী থেকে ধরে আনা দেশীয় প্রজাতির এই বড় বড় মাছ সংগ্রহ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন এ মেলায়।
মৌলভীবাজারের হাকালুকি, কাওয়াদিঘি, হাইল হাওর এবং কুশিয়ারা নদীসহ সিলেটের বিভিন্ন হাওর বাওরের মাছ নিয়ে বসেছে তিন দিনব্যাপী এ মেলা। মাছ ছাড়াও মেলায় উঠেছে মাছ কাটা এবং ধরার সামগ্রীও।
এ মেলায় ওঠা আড়াই মণ ওজনের বাঘাড় মাছ দেখতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে সবাই। যেটি কুশিয়ারা নদীর এক জেলের কাছ থেকে কিনে মেলায় নিয়ে এসেছেন শ্রীমঙ্গল লালবাগের মাছ ব্যবসায়ী আলফু মিয়া।
তিনি বলেন, মাছটি ডিসপ্লে করার পর থেকে ক্রেতার চেয়ে উৎসুক জনতার ভিড়ই হচ্ছে বেশি। বাঘাইড় মাছটির ওজন ৬০ কেজি। এটি মেঘনা নদী থেকে ধরা হয়েছে। উপযুক্ত দামের ক্রেতা না পেলে পড়ে কিছুটা কমেও বিক্রি করবো।
আরেক মাছ ব্যবসায়ী মফিজ বলেন, মেলায় তিনি ৩৫ কেজি ওজনের বোয়াল, ২২ কেজি ওজনের চিতল, ১৯ কেজি ওজনের কাতল এনেছেন। এর মধ্যে ৩৫ কেজি ওজনের বোয়ালের দাম ৭৫ হাজার টাকা, চিতলের দাম ৪০ হাজার টাকা হাঁকছেন তিনি। প্রায় সম পরিমাণ দামে ইতোমধ্যে বেশ কিছু মাছ বিক্রি করেছেন বলে তিনি জানান।
মেলায় বাঘাড় মাছ ছাড়াও ২০ কেজির উপরে উঠেছে রুই, কাতল, চিতল, বোয়াল ও আইড় মাছ। এ ছাড়াও মেলায় উঠেছে আরও প্রায় অর্ধশত প্রজাতির তাজা মাছ। মাছ কিনতে নয় দেখার জন্যও অনেকে এসেছেন মেলায়। বড় বড় মাছ দেখাতে অনেকে শিশু কিশোরদেরও নিয়ে এসেছেন।
মেলায় আসা শ্রীমঙ্গল সদর ইউপি চেয়ারম্যান ভানুলাল রায় বলেন, বিশাল বাঘাইড় মাছ উঠেছে শুনে মেলায় এসেছি। এর আগে এতো বড় মাছ মেলায় উঠেছে বলে শুনিনি।
মেলার দর্শনার্থীরা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে এ জাতীয় মেলার আয়োজন করলে মাছের সঠিক প্রজনন ও বিলুপ্ত প্রজাতি সংরক্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ এই মেলার জন্য প্রতিযোগিতামূলকভাবে বৃহৎ আকৃতির মাছ উৎপাদন করবে মাছ চাষিরা। মেলায় বৃহৎ মাছ আমাদানিকারক ও উৎপাদনকারীর জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন বলেও জানান তারা।