নীল ছবি বা পর্ন বন্ধ হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ভারতীয় নারীরা। এমন দাবি করেছেন লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
২০১৩ সালে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছিল, ২০১২ সালে ভারতে ২৪ হাজার ৯২৩টি ধর্ষণের মামলা ফাইল হয়েছিল। অর্থাৎ ধর্ষণের যে ভয়াবহ চেহারা, তা ক্রমেই আরো বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। শুধু ধর্ষণই নয়। কর্মক্ষেত্র বা অন্যত্র যৌন হেনস্থার ঘটনা প্রায়ই খবরের কাগজে উঠে আসে।
নীল ছবি বা পর্ন নিষিদ্ধ করায় এই সমস্যা কমার বদলে বরং বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের বক্তব্য, কারণ মন ও শরীরে জমে থাকা বাসনা নির্গত করার অন্যতম জায়গা হলো পর্ন। পর্ন বন্ধ হলে বিকল্প খুঁজে নেবে তারা। আর এতেই আরো নিরাপত্তা কমবে নারীদের।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এই রিপোর্টে জানা যায়, ৭০-এর দশকে ডেনমার্কে পর্নের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরে যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের হার অনেক কমে। খাবারের উপরে যদি নিষেধাজ্ঞা তৈরি হয়, খিদে বন্ধ হবে না। বরং তখন খাবার চুরির হার বেড়ে যাবে। নীল ছবির ক্ষেত্রেও একই রকম অবস্থা তৈরি হয় বলে দাবি গবেষকদের।
আন্তর্জাতিক নীল ছবির ওয়েবসাইট পর্ন হাবের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কোরে ভাইস এক সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ধর্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা রুখার কোনো সমাধান নেই। তাই এই অ্যাডাল্ট সাইটগুলোকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে।
সর্বোপরি, আইন থাকলে আইনের ফাঁকও থাকে। তাই পর্ন সাইট বন্ধ করা ধোপে টিকবে না বলেই মনে করছেন অনেকে। টেক স্যাভি নেটিজেন ঠিক উপায় বের করে নীল ছবি খুঁজে বের করবে। সূত্র: এবেলা