হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা দিনাজপুর। দেশের উত্তরাঞ্চলে এমনিতেই ঠান্ডা বেশি। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীসহ বেশ কিছু একালায় শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আর এ রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশুসহ বয়স্করা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য ও পরিবাবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন রোগী শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন এলাক থেকে চিকিৎসা নিতে আসছেন, এদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশু ও বয়স্ক। প্রতি সপ্তাহে গড়ে ২৫-৩০ জন বয়স্ক ও শিশু রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সাধ্য অনুযায়ী ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে এতে তারা দু’একদিনেই সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরছে। ।
এছাড়া গত ডিসেম্বর মাসে শিশু ভর্তি হয়েছিল মোট ৩৫২ জন। তাদের মধ্যে ১৫০ জন ডায়রিয়ায় ও নিউমোনিয়ায় ৩৮ জন, জ্বর সর্দি কাশি ১৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে বয়স্করা ৫/৭ দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও শিশু ওয়ার্ডে এখনো ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী।
শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার বিষয়ে ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সঞ্জয় প্রসাদ গুপ্ত জানান, রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা ও সেবা দিতে আমরা চেষ্টা করছি কিন্তু ডাক্তার ও লোকবল এবং কিছু যন্ত্রপাতি না থাকায় সঠিক সময়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়।
তিনি জানান, শীতজনিত কারণে শিশুদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নেবুলাইজার মেশিন অনেক দরকার ছিল। আমাদের এখানে একটি থাকলেও তা নষ্ট হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ঠিক করা হবে। এছাড়া এক্সরে মেশিন ও ইসিজি মেশিন দীর্ঘদিন থেকে নষ্ট রয়েছে। আমরা জরুরী কোন রোগীক চিকিৎসা দিতে পারি না। তবে আশা করছি মাননীয় সরকার মহোদয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
উত্তরবঙ্গে শীতকালে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশীর ভাগ সময় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস জাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়। শীতের প্রকোপ বেশি হওয়ার এধরণের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।