আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। এবার গতবারের মতো ধপে ধপে আই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে মাঠ গোছানো শুরু করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল ও তাদের নেতৃত্বাধীন জোট।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ‘শোচনীয়’ পরাজয়ের পর দিশাহারা বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট। সংসদ নির্বাচনের পর দেশের সবচেয়ে বড় এ নির্বাচনে অংশ নিবে কি না সেটি নিয়ে দোটানায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের শরিক দলের নেতারা। তবে কোনো কোনো শরিক দল অংশ নেয়ার পক্ষে, আবার কেউ বিপক্ষে থাকলেও প্রধান শরিক দল হিসেবে বিএনপির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, নির্বাচনে যাবে কি যাবে না সে বিষয়ে জোটের প্রধান শরিক বিএনপি সিদ্ধান্ত নেবে। এর পর আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব।
উপজেল নির্বাচনের ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নির্বাচন নিয়ে আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে উপজেলা সংগঠনের কাছ থেকে মতামত চেয়েছি। একাদশ সংসদ নির্বাচন কেমন হয়েছে তা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন। এমন অবস্থায় উপজেলা নিয়ে নেতৃবৃন্দ কি ভাবছেন, সে বিষয়ে মতামত নিচ্ছি।
এদিকে ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল গণফোরাম এখনও আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিবে কি না সে সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপির সঙ্গেও এখন পর্যন্ত আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে। তবে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিলে জামায়াতে ইসলামী নেতাদের ধানের শীষ প্রতীক দেয়া হলে তাতে আপত্তি জানাবে দলটি। এমনকি বিএনপি এমন সিদ্ধান্ত নিলে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে না যাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির নেতারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে তো আসতেই হবে। আমার সৌভাগ্য যে, ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সবাই ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব সিদ্ধান্ত নেয়। উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে তফসিলের আগেও ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক হতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে আমরা কোনো দিন রাজনীতি করিনি, এখনও করি না এবং ভবিষ্যতেও করব না।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, আপাতত উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ভাবছে না দলটির হাইকমান্ড। তারা এখন জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশের ‘অনিয়ম ও কারচুপির’ তথ্য সংগ্রহ করছেন। সেগুলো নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মী যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবার ও হামলা-মামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন ধানের শীষের প্রার্থীরা।