কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত হেঞ্জু মাঝিকেও (২৯)গ্রেফতার করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ভোরে তাকে দাউদকান্দি থেকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
হেঞ্জু সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, চাঞ্চল্যকর এ মামলায় পুলিশের তদন্ত, ভুক্তভোগী ও গ্রেফতারকৃতদের জবাদবন্দিতেও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে হেঞ্জু মাঝির নাম উঠে আসে। ঘটনার পর সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহী বাসে চালকের সহকারী হিসেবে কাজে যোগ দেয়। তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার ভোরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর
হেঞ্জুকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের।
হেঞ্জুকে নিয়ে মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হলো। এছাড়াও এ ঘটনায় আরো দুই আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে। গতকাল শুক্রবার ধর্ষক মুরাদকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ।
ওদিকে ৩নং আসামি স্বপন (৩৫) ও ৫নং আসামি মোশারফ হোসেন বেচু (২৫) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে দুই ঘণ্টা ধরে জেলা জজ কোর্টের ২নং আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক হাকিম নবনিতা গুহ এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর আগে গত সোমবার আবুল হোসেন আবুল্যা ও সালাউদ্দিন একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
বুধবার সকালে অভিযুক্ত প্রধান আসামি সোহেল (৩৫) ও এজাহার বহির্ভূত আসামি জসিম উদ্দিন (৩২) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ নিয়ে ছয়জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী ওসি-ডিবি (তদন্ত) জাকির হোসেন জানান, গত ১০ই জানুয়ারি বিকালে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি স্বপন ও মোশারফ হোসেন বেচুকে আদালতে পাঠালে তারা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পরে তাদেরকে রিমান্ড থেকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, বাকি আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।