স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় মামা-ভাগ্নেসহ আটক ৩

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে মামা-ভাগ্নেসহ ৩ জনকে পুলিশে দিয়েছে ওই ছাত্রীর অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন। 

আটককৃতরা হলেন- পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার আজিজুর রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও তার ভাই পানারুল ইসলাম এবং দুই ভাইয়ের মামা ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ফজলুর রহমান ওরফে মন্টু। আব্দুর রাজ্জাক বিবাহিত এবং তার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। 

বুধবার (৯ জানুয়ারি) রাত ১১ টায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দোগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) সকালে আসামিদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় লোকজন ও স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজন পুলিশের হাতে তুলে দেন এবং মেয়ের বাবা বাদী হয়ে আটককৃত ৩ জনসহ আরও ৬/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।   

মেয়ের বাবা ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার গভীর রাতে স্কুলছাত্রীর ঘরে গোপনে প্রবেশ করে আব্দুর রাজ্জাক ধর্ষণ চেষ্টার সময় স্কুলছাত্রীর চিৎকার করে। স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয়রা তাকে আটক করলে আব্দুর রাজ্জাকের ভাই পানারুল ও মামা মন্টুসহ আরও ৬/৭ জন লোক তাকে ছিনিয়ে নিতে আসে। এসময় স্থানীয় লোকজন রাজ্জাকের ভাই ও মামাকে আটক করলেও বাকিরা ১ টি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। 

এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে ওই স্কুলছাত্রী নিজের ঘরে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার সময় বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানকার ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য    রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে মেয়েটি রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন, চাড়োল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার চ্যাটার্জী।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোসাব্বেরুল হক বলেন, স্থানীয় লোকজন খবর দিলে পুলিশ শুক্রবারে একটি মোটরসাইকেল, দেশিয় অস্ত্রসহ ৩ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মেয়ের বাবা শুক্রবার সন্ধ্যায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

আসামিদের শনিবার (১২ জানুয়ারি) জেলহাজতে পাঠানো হবে এবং বাকি আসামিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।