সরকারের স্বার্থেই সংসদের ভেতরে-বাইরে সমালোচনার জায়গা চান তারা বলে মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের নেতারা।
মন্ত্রিসভায় জায়গা না পাওয়ায় কোনো আক্ষেপ নেই বলে মন্তব্য করে ১৪ দলের নেতারা বলেন, সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকতে চায় আওয়ামী লীগের জোট শরিকরা।মন্ত্রিসভায় জায়গা না পাওয়ায় কোনো আক্ষেপ নেই বলেও জানাচ্ছেন ১৪ দল নেতারা। সরকারের যে কোনো ভুল-ক্রুটিতে রাখতে চায় সরব অবস্থান। তারা মনে করছেন, সরকারের স্বার্থেই সংসদের ভেতরে-বাইরে সমালোচনার জায়গা করতে হবে। এক্ষেত্রে, বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে তাদের।
গঠনের দিনই মন্ত্রিসভায় কেন জায়গা হয়নি এর ব্যাখ্যা চেয়েছে আওয়ামী লীগের জোট শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি। আক্ষেপ ছিলো সাম্যবাদী দলেরও। তবে, এ বিষয়ে এখনও কোনো সাড়া দেয়নি ক্ষমতাসীন দল।
সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া বলেন, জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব সমাজকে দেয়ার কিছু নেই, তারা ব্যক্তি চিন্তায় এতো বিভোর থাকে, যে সরকারের জন্য তারা কোনো চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না।
জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাঈন উদ্দিন খান বাদল বলেন, ‘এরশাদের দলকে সক্রিয় বিরোধী দল করা হচ্ছে। তাদের চরিত্র হচ্ছে গাছেরটাও খাবো, গোড়ারটাও খাবো। এই দল শক্তিশালী বিরোধীদলের ভূমিকা রাখতে পারবে না। সুতরাং সরকারকে আরো প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে হবে, কিভাবে শক্তিশালী বিরোধী দল গঠন করা যায়। আমি মনে করি, যতো শীঘ্রই সম্ভব বিরোধী শক্তির জন্য জায়গা তৈরি জরুরি।
তবে মন্ত্রিপরিষদে জায়গা না পাওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে টানাপড়েন নেই দাবি করে জোট শরিকেরা বলছেন, সরকারের ভুল-ত্রুটি নিয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, সরকারের সাথে থাকলেও যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব থাকবো। যেখানে যখন নেয় কথা বলা দরকার, সেখানে ১৪ দল বা আমার দল কখনো পিছপা হবো না। কেউ কেউ মনে করছেন মন্ত্রীত্ব দেয়া হয়নি বলে আর জোটের প্রয়োজন নেই, আমি এটা মনে করি না।
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘১৪ দলের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়নি। আগামী পাঁচ বছর সামরিক শাসন ও সাম্প্রদায়িকতার যে জঞ্জাল এখনো রয়েছে, সে সব পরিস্কার করার শেষ কাজটি করতে হবে। জোটের রাজনীতির সাথে মন্ত্রিসভা গঠনের কোনো সম্পর্ক নেই।
আগামী ক’দিনের মধ্যেই ১৪ দল শরিকদের অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।