Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইন ব্যাংক কর্মকর্তার জেল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:২৪ PM
আপডেট: ১০ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:২৪ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


আলোচিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার মামলায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্সিয়াল ব‌্যাংক করপোরেশনের (আরসিবিসি) সাবেক কর্মকর্তা মায়া সান্তোস দেগিতো দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দেশটির একটি আঞ্চলিক আদালত দেগিতোকে দোষী সাব্যস্ত করে অর্থ পাচারের আট দফা অভিযোগের প্রতিটিতে তাকে ৪ থেকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড ও সর্বমোট ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার জরিমানা করে বলে ডেইলি ইনকোয়াইরারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে দেগিতোকে সর্বনিম্ন ৩২ থেকে সর্বোচ্চ ৫৬ বছর সাজা ভোগ করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই রিজার্ভ চুরিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাইবার চুরির ঘটনা বলে মনে করা হয়। এ কাণ্ডে প্রথম সাজা পেলেন মায়া।

এক দশকের বেশি সময় ধরে থাকা ব্যাংকিং খাতের অভিজ্ঞতা ও লব্ধ জ্ঞান ব্যবহার করে এই কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন বলে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে থেকে রিজার্ভ চুরির ওই মামলার রায়ে বলেছেন ম্যানিলার মকতী শহরের বিচারিক আদালতের বিচারক।

আদালত বলেন, অর্থ লেনদেনের ঘটনায় তার কিছুই করার ছিল না বলে মায়া আদালতে যে কথা বলেছেন, তা বড় ধরনের মিথ্যা।

এদিকে দেগিতোর এক আইনজীবী জোয়াকুইন হিজন জানিয়েছেন, দেগিতো বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন। সাজা চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তার জামিন বহাল থাকবে।

তার আরেক আইনজীবী জানিয়েছেন, তাকে দোষী সাব্যস্ত ও সাজা নির্ধারণ করে আদালত যে রায় দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজন হলে দেগিতো উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশের এক বিলিয়ন ডলার সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়।

এর মধ্যে পাঁচটি মেসেজে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপাইনের আরসিবিসিতে। আরেক আদেশে শ্রীলংকায় পাঠানো হয় ২ কোটি ডলার।

শ্রীলংকায় পাঠানো অর্থ ওই অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া শেষ পর্যন্ত আটকানো গেলেও ফিলিপাইনের ব্যাংকে যাওয়া অর্থের বেশিরভাগই ক্যাসিনোতে চলে যায়।

Bootstrap Image Preview