আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের সামনে র্যাগিং বিরোধী পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শাখা ছাত্রলীগ।
গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মিছিলটি প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে সমাবেশ করে আবার প্রধান ফটকে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়রা আজমিরা এরিন বলেন, নৌকা প্রতীককে সরিয়ে দিয়ে র্যাগিং বিরোধী পোস্টারের নামে যে নোংরা পোস্টার প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাগানো হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ের পোস্টার লাগিয়ে প্রশাসন আসলে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের অপমাণ করেছে, প্রশাসনের এরূপ কার্যক্রম প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়।
এবিষয় নিয়ে কথা বলতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে অশোভনমূলক আচরণ করা ও হয়রানী করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে রাখা সদ্য নির্বাচিত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সামনে এধরণের পোস্টার লাগানোকে তিনি নৌকার অপমাণ বলে আখ্যায়িত করেন এবং তিনি এঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার ও দাবি করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন শহীদ মশিয়ুর রহমান হলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, নাজমুস সাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ শরীফ উদ্দিন, পিইএসএস বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ আলমাহমুদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সদ্য নির্বাচিত শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড: ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ক্যাম্পাসে নৌকা টাংগিয়েছি আমি অথচ আমার বিরুদ্ধে নৌকা সরানোর যে অভিযোগ তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে অশোভনমূলক আচরণ সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যদি কোন শিক্ষার্থীকে বকা দিয়ে থাকি তবে শিক্ষক হিসেবে সেই অধিকার আমার আছে।
এছাড়া জেলা ছাত্রলীগের জৈষ্ঠ্য এক নেতা মুঠোফোনে তার সাথে অশোভন আচরণ করেন এবং তাকে দেখে নেয়ারও হুমকি দিয়েছেন বলে তিনি জানান।