বগুড়ার ধুনট পৌর এলাকায় পূর্বভরণশাহী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ইছামতি নদীর তীরে আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু হতে যাচ্ছে।
১০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ফজরের নামায আদায়ের পর উদ্বোধনী বয়ানের মধ্যেদিয়ে ইজতেমা শুরু হবে।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির সুরা সদস্য মুফতি মশিউর রহমান বলেন, প্রথমবারের মত এখানে ৩ দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। দেশ বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীগণ ইজতেমা ময়দানে সমবেত হতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ইজতেমায় নবী রাসূলের তরিকা ও আল্লাহর ইবাদাত বন্দেগীসহ ধর্মীয় বিষয়াদী নিয়ে প্রতিদিন ফজর, যোহর, আছর ও মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে দেশ বিদেশের ওলামায়ে কেরামগণ কোরআন ও হাদিস থেকে বয়ান পেশ করবেন।
এ ছাড়া ইজতেমায় তাবলিগ জামায়াতের গুরুত্ব, কার্যক্রম ও করণীয় বিষয়ে মুসল্লিদের অবগত করবেন। ঢাকার টুঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে এবং দ্বীনি দাওয়াতে তাবলিগের কাজের জন্য কমপক্ষে ৩০টি জামাত তৈরী করা হবে। তাবলীগ জামাতের মুসুল্লিরা দেশের বিভিন্ন এলাকার মসজিদ গুলোতে ঘুরে ধর্মপ্রান মানুষদের দীনের সেবা তথা দাওয়াতে তাবলিগের কাজে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাবেন।
মুসুল্লিরা দেশব্যাপী দাওয়াতের কাজ শেষ করে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় শরীক হবেন। ইতিমধ্যেই জর্ডান, তিউনিশিয়া, জিবুতি, চাঁদ ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের অনেক দেশ থেকে মুসুল্লিরা এই ইজতেমায় শরীক হয়েছেন।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ইজতেমা ময়দানে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন। বিদেশি মুসুল্লিদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ১২ জানুয়ারি দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার শান্তি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।