যুক্তরাষ্ট্রে আংশিক শাটডাউন বা সরকারি কার্যক্রমে অচলাবস্থার মধ্যেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (৯ বুধবার) হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিস থেকে টেলিভিশনে প্রথমবারের মতো ১৮ মিনিটের ভাষণ দেন তিনি।
ভাষণে ট্রাম্প দাবি করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিন ধরে চলছে আংশিক শাটডাউন বা সরকারি কার্যক্রমে অচলাবস্থার পেছনে কেবল একটি মাত্র কারণ রয়েছে। আর তা হলো সীমান্তে প্রাচীর তোলার তহবিলে ডেমোক্র্যাটদের অনুমোদন না দেওয়া।’
তবে ট্রাম্পের এই দাবিকে মিথ্যা বলে আখ্যা দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিনএনএন। তারা জানিয়েছে, মেক্সিকো সীমান্তে নিরাপত্তার দেয়াল নির্মাণে ট্রাম্পের দাবিকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেনি বিরোধীরা। যেখানে দেয়াল নির্মাণে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ না দেওয়া পর্যন্ত ট্রাম্প কোনো বাজেট প্রস্তাবে স্বাক্ষর করবেন না জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা জানিয়েছেন, ১৩০ কোটি ডলারের চেয়ে এক পয়সাও বেশি দিতে তারা সম্মত হবেন না।
ট্রাম্প ভাষণে আরো বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটের অনুরোধে, এটি কংক্রিটের পরিবর্তে একটি ইস্পাতের প্রাচীর তোলা হবে।’ তবে বিরোধীদের তরফ থেকে এমন কোনো প্রস্তাব আসেনি বলে দাবি করেছে সিএনএন।
ভিয়েতনাম যুদ্ধে অতিরিক্ত মাদকাসক্ত হওয়ায় ৫৮ হাজার ২২০ মার্কিন নাগরিক মারা যান। আজকের ভাষণে ট্রাম্প এই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের প্রায় ৩০০ জন নাগরিক হেরোইনে আসক্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। সীমান্তে প্রাচীর তোলা না হলে চলতি বছরই ভিয়েতনাম যুদ্ধের তুলনায় আরও বেশি মানুষ মারা যাবে।’
ট্রাম্পের দাবি, মানবিক সংকটে রুপ নিচ্ছে সীমান্ত সংকট। এ সময় মেক্সিকো সীমান্তে আবারও ৫০০ কোটি ডলার অর্থায়নের দাবি করেন তিনি। তবে এই বিপুল পরিমাণের অর্থের যোগান পেতে এর আগে ‘বিশেষ ক্ষমতা’ প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিলেও আজকের ভাষণে তা এড়িয়ে যান।
অভিবাসী সংকট মোকাবেলায় মেক্সিকো সীমান্ত ঘেঁষে দীর্ঘ প্রাচীর তোলার পক্ষে নিজের যুক্তি ও মত তুলে ধরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তহবিলে কংগ্রেসের অনুমোদন পেতে বিরোধীদের ওপর চাপ বাড়াতে ক্যাপিটাল হিলের রিপাবলিক্যান সিনেটরদের নিয়ে আজ সমাবেশ করবেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন প্রেসিডেন্ট। এ সময় জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মানবিক সংকট ঠেকাতে কর্মরত সীমান্তরক্ষী ও সেনাদের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা রয়েছে।