আব্দুর রশীদ সরকারের আবার জাতীয় পার্টিতে স্বপদে ফেরার ঘোষণায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী। তিনি জাতীয় পার্টি থেকে বের হয়ে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই প্রার্থী আবার জাতীয় পার্টিতে ফিরতে চাইছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় নেতারা জানান, নীতিভ্রষ্ট ও ব্যর্থ নেতা আব্দুর রশীদ সরকারকে আর কোনোভাবেই জাতীয় পার্টিতে নেয়া হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক রাগীব হাসান চৌধুরী হাবুল। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের নির্দেশে সদ্যসমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশের মতো গাইবান্ধায়ও দলের নেতাকর্মীরা মহাজোটের প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। এই নির্বাচনে গাইবান্ধা-২ আসনে ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আব্দুর রশীদ সরকার। তিনি একসময়ে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ছিলেন। সেই পদ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
রাগীব হাসান চৌধুরী আরও বলেন, আব্দুর রশীদ সরকার তার ব্যক্তিগত কার্যালয়কে জেলা জাতীয় পার্টির অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি ওই অফিসে টাঙানো জাতীয় পার্টির সাইনবোর্ড এবং জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচএম এরশাদের ছবি নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। যার মাধ্যমে জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মনে আঘাত করা হয়। আব্দুর রশীদ সরকারের এমন ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে এখনো ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের নাম ব্যবহার করে তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে আব্দুর রশীদ সরকার আবার জাতীয় পার্টিতে স্বপদে ফেরার যে ঘোষণা দিয়েছেন তার জন্য আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তার এসব কাজ পাগলের প্রলাপ।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলে ফেরার ঘোষণা দিয়েছিলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রশীদ সরকার।