Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মন্ত্রিসভায় স্থান পেল না জোট ও মহাজোটের কেও

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:২০ PM
আপডেট: ০৬ জানুয়ারী ২০১৯, ০৭:২০ PM

bdmorning Image Preview


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর টানা তৃতীয়বারের মতো মন্ত্রিসভা গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা (এমপি) শপথ নিয়েছেন। আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকারে সোমবার (৭ জানুয়ারি) শপথ নেবে নতুন মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য অনেক সংসদ সদস্য টেলিফোনে ডাক পেয়েছেন। এবার শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রী থাকছেন ৩ জন।

এ দিকে বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে বেশিরভাগই ডাক পাননি নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার ২৮ জন পূর্ণমন্ত্রীর মধ্যে ২৩ জনই ডাক পানটি নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় শপথের জন্য। বর্তমানের ১৭ জন  প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে ডাক পাননি ৯ জন। তবে ৫ জন প্রতিমন্ত্রী ডাক পেয়েছেন।

নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের। গত দুই টার্মের ধারাবাহিকতার ব্যতিক্রম হচ্ছে এবার, নতুন মন্ত্রিসভায় থাকছেন না জোট ও মহাজোটের কোনও সদস্য।

এমনকি টেকনোক্র্যাট কোটায় যে তিন জন মন্ত্রী হচ্ছেন তারাও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বা আওয়ামী ঘরানার।

রবিবার (৬ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রকাশিত নতুন মন্ত্রিসভার যে তালিকা পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।

১৪ দল ও জাতীয় পার্টিকে নিয়ে নির্বাচনি জোট গঠন করে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়, তাতে আওয়ামী লীগ ছাড়াও জোট-মহাজোট শরিকদের স্থান দেওয়া হয়। ওই সময় জাতীয় পার্টির গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াকে (টেকনেক্র্যাট) মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়েছিল।

ওই সরকারের মেয়াদের দ্বিতীয়ার্ধে জাসদের হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও রাশেদ খান মেনন প্রথমে মন্ত্রী হননি। তবে সরকারের মেয়াদের শেষভাবে যখন নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হয় ওই সময় মেনন খান মেনন মন্ত্রি সভায় যুক্ত হন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসার পরও জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের মন্ত্রিসভায় রাখা হয়।

সোমবার নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার যেসব সদস্য শপথ নিতে যাচ্ছেন, সেখানে আওয়ামী  লীগের বাইরে শরিক দলের কারও স্থান হচ্ছে না।মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী মিলে ৪৬ সদস্যের মধ্যে ৪৩ জনই আওয়ামী লীগের মনোনয়নে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন। বাকি ৩ জন টেককোক্র্যাট।

ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি আওয়ামী ঘরানার তথ্য প্রযুক্তিবিদ হিসেবে পরিচিত।

Bootstrap Image Preview