Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঢাকার সাথে ৪৫ কি.মি দূরত্ব কমালো 'ত্রিমোহনী সেতু'

মোস্তাফিজুর রহামান, সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৫১ AM
আপডেট: ০৫ জানুয়ারী ২০১৯, ১০:৫১ AM

bdmorning Image Preview


এক সময় অন্য স্থান থেকে কেউ সাঘাটা এলাকায় এলে বলত, এটা তো পকেট এরিয়া। পকেট হিসেবে এমনটি বোঝানো হতো যে, এলাকাটি সড়ক যোগাযোগ থেকে পিছিয়ে, এমনকি জেলা শহর থেকেও অপজিটে ও ভেতরে। কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই।

গত কয়েক বছরে এই উপজেলায় যোগাযোগ খাতে উন্নয়ন হয়েছে চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে পাকা সড়কে পরিমান বেড়েছে।

গত ৫ বছরে ৮৫ কি.মি সড়ক পাকাকরণ করা হয়েছে। সেতু কালভার্টের সংখ্যা বাড়ায় অবারিত হয়েছে যাতায়াত। ব্রিজ নির্মিত হয়েছে ছোট ৭টি, বড় ৩টি। 

এসব সেতুর একটি বোনারপাড়া-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের 'ত্রিমোহনী সেতু'। কনস্ট্রাকশন অব লং ব্রীজ-১ উপজেলা এন্ড ইউনিয়ন রোডস প্রজেক্টের (এলবিসি) আওতায় ওই সড়কের রামনগর বাজার কাটাখালী নদীর উপর ৪০২৫ মি. সেতুর কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালের ২১ অক্টোবর।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) জিওবি ফান্ডের এ কাজের বাস্তবায়ন করেছে ঢাকা দোহারের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুরমা এন্টারপ্রাইজ। ব্যয় ২৪ কোটি ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৬০ টাকা। গত বছরে সেতুটির কাজ শেষ হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে তবে সেতুর পশ্চিম পার্শ্বে এক কিলোমিটার এপ্রোচ সড়ক না থাকায় ভারি (বাস, ট্রাক) যান বাহন চলাচল করতে পারছে না। সেতু নির্মাণ বিষয়ে কথা হলে বোনারপাড়ার ব্যবসায়ী জিয়াউল করিম বলেন, এই সেতুর ফলে গোবিন্দগঞ্জের মহাসড়কের সাথে সংযোগের ক্ষেত্রে প্রায় ৪৫ কি.মি রাস্তা কমে আসবে।

মানুষ মাত্র ২৫ মিনিটে গোবিন্দগঞ্জে পৌঁছবে বলে জানালেন আরেক ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান। তাদের মতে ৪৫ কি.মি ঘুরে লোকজনের প্রায় অতিরিক্ত ১ ঘন্টা ব্যয় হয় গোবিন্দগঞ্জে যেতে। উপজেলাবাসীর জেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র সড়কটি দীর্ঘ দিন পরে হলেও দু’পাশে দুই ফিট করে বর্ধিত করায় স্বস্তি ফিরে এসেছে মানুষের মাঝে।

দীর্ঘ দিনের যানযট লাঘব হয়েছে রাস্তা প্রশস্তকরণ হওয়ায়। উপজেলা প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম জানান, সময় উপযোগী পদক্ষেপ আর সুষ্ঠু তদারকির ফলে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। এসব কাজের সাথে জড়িত প্রকৌশল বিভাগ, বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সড়ক ও সেতুর উন্নয়নে এ উপজেলা এলজিইডি বিভাগের তৎপরতা বেশ চোখে পড়ার মতো।

এদিকে উপজেলার পদুমশহর, কামালেরপাড়া, কচুয়া ইউনিয়ন সহ নিভৃত পল্লীতে পাকা সড়কের সংখ্যা বাড়ায় কাচা রাস্তার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছে এলাকাবাসি। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই উন্নয়ন এলাকার অর্থনীতিতেও বেশ ভূমিকা রাখছে।

Bootstrap Image Preview