Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিএনপির ডাকেও দেখা মেলেনি জামায়াতের প্রার্থীদের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারী ২০১৯, ০৮:৩৭ PM
আপডেট: ০৩ জানুয়ারী ২০১৯, ০৮:৩৭ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে দলীয় অবস্থান ও কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেছিল বিএনপি-গণফোরামসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। কিন্তু বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপির নির্বাচন পরবর্তী জরুরি বৈঠকে জামায়াতের মনোনীত কোনও প্রার্থীই অংশ নেননি।

২৯৮টি আসনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী মনোনয়ন দেয় বিএনপি। এর মধ্যে ২২টি আসনে অংশ নিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। এছাড়া বাকি দুটি আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপি’র প্রধান অলি আহমেদ নিজের দলের প্রতীক ‘ছাতা’ এবং কক্সবাজার-২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর হামিদুর রহমান আযাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।

এরপর আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, নাগরিক ঐক্য, জেএসডি’র প্রার্থীরা অংশ নিলেও জামায়াতের কোনও প্রতিনিধি অংশ নেননি।

এদিকে বৈঠকের শুরুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্যে প্রার্থীদের কাছে তাদের নিজ এলাকার ভোটের পরিস্থিতি এবং পরবর্তী করণীয় কী হতে পারে, তা বিস্তারিতভাবে জানাতে প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

এই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বৈঠকে ১৭৪ জন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, হারুনুর রশীদ, আমিনুল ইসলাম, মোশারররফ হোসেন ও জাহিদুর রহমান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, জরুরি এ বৈঠকে অংশ নেন— বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধরী, শাহজাহান ওমর, মিজানুর রহমান মিনু, আমিনুল হক, আবদুস সালাম, শাহজাহান মিয়া, ভিপি জয়নাল আবেদীন, হারুনুর রশীদ, আসাদুল হাবিব দুলু, আনোয়ারুল আজীম, শামা ওবায়েদ, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, গৌতম চক্রবর্তী, আলমগীর কবির, দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, নাজিম উদ্দিন আলম, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সুলতান মাহমুদ বাবু, রফিকুল ইসলাম হিলালী, শরীফুল আলম, জালাল উদ্দিন, আজিজুল বারী হেলাল, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জিএম সিরাজ, সাখাওয়াত হোসেন বকুল, জহিরউদ্দিন স্বপন, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, জাহিদুর রহমান, অরুণ মেহেদি, সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিকী, নবী উল্লাহ নবী,মোরশেদ মিল্টন, পারভেজ আরেফীন সিদ্দিকী, রুমানা মাহমুদ, আমিনুল ইসলাম আলিম, সেলিম রেজা হাবিব, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, সৈয়দ ফয়সল আহমেদ চৌধুরী, মিজানুর রহমান, জি কে গউস, আবু তাদের তালকুদার, কায়সার কামাল, আনোয়ারুল হক, তাহসিনা রুশদির লুনা, লুতফর রহমান কাজল, মুন্সি রফিকুল আলম, খন্দকার মুক্তাদির, মোশাররফ হোসেন, শফি আহমেদ চৌধুরী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আসাদুজ্জামান, শাহ রিয়াজুল ইসলাম, একরামুজ্জামান, আবু সুফিয়ান, মিল্টন বৌদ্ধ, আনিসুর রহমান খোকন, শাহ আবু জাফর, খোন্দকার আখতার হামিদ ডাবলু, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. আলী সরকার, তাজভীরুল ইসলাম, টিএস আইয়ুব, সাইফুর রহমান রানা, মো. হানিফ, আনোয়ারুল ইসলাম, আলী নেওয়াজ খৈয়াম, এমদাদুল হক ভরসা, সাহাদাত হেসেন, মাসুদা মোমিন, সালমা আলম, রফিকুল ইসলাম, সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা, সালাহ উদ্দিন সরকার, কাজী নাজমুল হোসেন, শাহ শহীদ সারোয়ার, আবদুল খালেক, মজিবুল হক, মো. ইউনুস, ফাহিম চৌধুরী, শামীম আরা বেগম, আহসান উল্লাহ হাসান, নসরুল হক সাবু, ওয়ারেস আলী মামুন, আজহারুল ইসলাম মান্নান, লায়ন হারুনুর রশীদ, আমিনুল ইসলাম, মনি স্বপন দেওয়ান, কনক চাঁপা, সাচিং প্রু, ফরহাদ হোসেন, আজাদ, ফজলুর রহমান, আবু ওহাব আখন্দ, মাহমুদুল হক রুবেল প্রমূখরা ছিলেন।

আরও ছিলেন জেএসডি’র আসম আবদুর রব, আবদুল মালেক রতন, শহীদউদ্দিন মাহমুদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, ইকবাল সিদ্দিকী, গণফোরামে সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, আমসা আমিন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। নির্বাচনে মাত্র সাতটি আসনে জিততে পারে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নিরঙ্কুশ এই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য আওয়ামী লীগ অভিনন্দনে সিক্ত হতে থাকলেও ঐক্যফ্রন্ট শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে, নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের জেতানোর জন্য ব্যাপক কারচুপি-জালিয়াতি হয়েছে।

এরপর ৩১ ডিসেম্বর বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটি ও পরে সন্ধ্যায় তাদের জোটের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কারচুপির প্রতিবাদে বিএনপি ও জোটের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন না। তারা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে অবস্থান জানিয়ে দেন।

বিএনপির নির্বাচিত পাঁচ এমপি হলেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (বগুড়া-৬ আসন), মোশারফ হোসেন (বগুড়া-৪), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২) ও হারুনুর রশিদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩)। আর গণফোরামের দুই এমপি হলেন- সুলতান মোহাম্মদ মনসুর (মৌলভীবাজার-২) ও মোকাব্বির খান (সিলেট-২)।

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তবে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদসহ জোটের অন্য কোনো সিনিয়র নেতা এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেননি।

Bootstrap Image Preview