ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মানুষের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি হচ্ছে কৃষি। এই এলাকার মানুষ একমাত্র কৃষির উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন মৌসুমে হরেক রকম ফসলের চাষাবাদ হয়ে থাকে এ উপজেলায়। সারা দেশের মধ্যে পাট-পিয়াজের জন্য বিখ্যাত এ অঞ্চলটি। ব্যবসা বাণিজ্য, চাকরি ও অনন্য পেশার সাথে সংযুক্ত রয়েছে কৃষি। কৃষির আয় ছাড়া এখানে দু-মুঠো ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকা দূরস্কার।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, সালথা উপজেলায় সৃজন অনুযায়ী প্রধান ফসল পাট-পিয়াজের পাশাপশি আমন ধান, গম, ইরি ও বোরো ধান, সরিষা, আলু, তিল, কালোজিরা, খেসাড়ী, মুসুরী, মুগ, সুর্যমূখী, গর্জন তীল, মাসকালাই, ধনিয়া, রসুন, তামাক, তরমূজ, চিনা বাদাম, ভূট্টা, মিষ্টি আলু, পান, ক্ষিরাই, পানি কচু, ছোলা, মটর ডাল, বাঙ্গী, আখ, শশা, মরিচ ও মেথিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ হয়ে থাকে।
প্রতি মৌসুমে প্রধান ফসল পাট ও পিয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। রবি মৌসুমে গম, সরিষা, মুসুরী সহ অন্যান্য ফসল চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছেন।
উপজেলার জগন্নাথদি গ্রামের কৃষক সুশান্ত রায় এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের দু-মুঠো ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে কৃষি কাজ। তাই এবছরে ১বিঘা জমিতে পিয়াজ, ১০ কাঠা জমিতে গম, ১০ কাঠা মুসুরী ও ২কাঠা কালোজিরার চাষ করার প্রস্ততি নিয়েছি।
মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কৃষক হায়দার বলেন, এবার ৬/৭ বিঘা জমিতে পিয়াজ ও ১ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। প্রতি বছর জমিতে বিভিন্ন রকমের চাষাবাদ করে থাকি। জমির ফসল দিয়েই সংসার চালাতে হয়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, গত বছরে পিঁয়াজের মূল্য কম থাকার পরও এবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে কৃষকরা অনন্য ফসলের চেয়ে পিয়াজের আবাদ বেশি হচ্ছে। বর্তমানে পিয়াজের চারা জমিতে লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য ফসলের বপনের কাজ আগেই শেষ হয়েছে। এখন শুধু কৃষি অফিসের নির্দেশ মোতাবেক সময় মতো সার-কীটনাশক প্রয়োগ ও সেচ দিতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মাদ বিন ইয়ামিন বলেন, এই উপজেলার মানুষ কৃষির উভর নির্ভরশীল। এ বছরে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পিয়াজ চাষ করছে কৃষকরা। সে জন্য পিয়াজ চাষীদের যাবতীয় মরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।