মৌসুম শেষ হলেও বঙ্গোপসাগর ও তার মোহনা সংলগ্ন বিষখালি, বলেশ্বর নদী ও গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালী ইলিশ। অসময়ে ইলিশ ধরা পড়ায় স্থানীয় বাজারগুলোতে প্রচুর ইলিশের দেখা মিলছে। সাধারণত এ সময়ে বাজারে তেমন ইলিশ থাকে না। তবে এখন ইলিশের ছড়াছড়ি দেখে অবাক ক্রেতারা। দামেও তুলনামূলক কম।
মৎস্য বিভাগ বলছে, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় নদ-নদীতে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা সব ধরনের মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। নিষেধাজ্ঞা মেনে জেলেদের অবরোধ পালন ফলপ্রসূ হয়েছে। সাগর ও নদীতে ইলিশের পরিমাণ বাড়ছে।
গতকাল (৩ জানুয়ারী) দেশের বৃহত্তম মৎস অবতরন কেন্দ্র (বিএফডিসি) পাথরঘাটায় গ্রেড অনুযায়ী মণ প্রতি ইলিশ বিক্রি হয়েছে, ফিশিং ১ম গ্রেট ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা, ২য় গ্রেট ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। লোকাল ১ম গ্রেট ২২ থেকে ২৬ হাজার টাকায়। ২য় গ্রেট ১৩ থেকে ১৬ হাজার ও কেজির ওপরে ইলিশ ৩০ থেকে ৩৮ হাজার টাকা ধরে কেনাবেচা চলছে। যা কদিন আগের চেয়ে প্রায় মণে ৮-১০ হাজার টাকা কম।
জানাযায়, প্রতি বছর মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরার মৌসুম। এর পরে নদীর পানি কমে যায়। ফলে উজানের স্রোত না থাকায় নদী ও সাগরে তেমন ইলিশ ধরা পড়েনা। কিন্তু এবার ঘটেছে ব্যতিক্রম। বঙ্গোপসাগর ও তার উপকূলের নদ-নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়েছে এখনও। অসময়ে এত ইলিশ ধরা পড়ায় তা সারা দেশের বাজারগুলোতে যাচ্ছে। ফলে মৌসুম ছাড়াও অসময়ে তাজা ইলিশ খাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ক্রেতারা।
পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম জানান, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞায় সরকারি আইন বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি প্রশাসনের ব্যাপক ভূমিকা ছিলো। বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা বিষয়ক সভা-সভাবেশ করা হয়েছে। এতে করে স্থানীয়দের জেলেদের মধ্যে সচেতনতা এসেছে। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা সব ধরনের মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। যে কারণে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার ইলিশের উৎপাদন অনেক বেশি সফল।