Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শ্রীপুরে বই উৎসবের সাথে সহপাঠীকে হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি

সাখাওয়াত হোসেন সানি, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৩০ PM
আপডেট: ০১ জানুয়ারী ২০১৯, ০৬:৩০ PM

bdmorning Image Preview


গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ফাউগান এলাকায় স্কুলছাত্র সাদমান ইকবাল রাকিন (১০) হত্যার ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বই উৎসবের দিনে সহপাঠীরা এ দাবি জানায়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফাউগান বাজারে রাজেন্দ্রপুর-ফাউগান-প্রহলাদপুর সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নিহতের সহপাঠী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও গ্রামবাসী মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, প্রহলাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হক আকন্দ, ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ইজ্জত আলী খান, ফাউগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হিমাংশু কুমার দেবনাথ, ফাউগান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজিজুর রহমান প্রমুখ।

নিহতের বাবা শামীম ইকবাল বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হওয়ায় তারা সরকার ও সমাজের মানুষের কাছ থেকে নানা ধরণের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। আর সেসব দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে তার ছেলেকে অপহরনের পর হত্যা করেছে।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক সারোয়ার বিন কাশেম জানান, ছাত্রকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের জন্য গাজীপুরের এক গৃহশিক্ষক ছয় মাস ধরে পরিকল্পনা করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ছাত্রকে অপহরণও করে, তবে মুক্তিপণ না পেয়ে ছাত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে ওই শিক্ষক। এই গৃহশিক্ষকের নাম পারভেজ শিকদার (১৮) ও নিহত শিশুটির নাম ইকবাল রাকিন (১০)। একটি মোবাইল রিচার্জের দোকানের ময়লার ঝুড়িতে পড়ে থাকা চিরকুটের সূত্র ধরে ২৩ ডিসেম্বর রোববার রাতে ওই শিক্ষক ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

প্রসঙ্গত, ১১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ফাউগান এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে স্কুলছাত্র সাদমান ইকবাল রাকিনের (১০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ৫ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে মসজিদে মাগরিবের নামাজের উদ্দেশে বের হয় নিখোঁজ হয় সে। তাকে উদ্ধারের পর রাকিনের বাবা শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এবছর শিশু রাকিন পিইসি পরীক্ষা দিয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের পর র‌্যাব তদন্ত করে জানতে পারে তার গৃহশিক্ষক পারভেজ শিকদারই এক সহযোগিসহ এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। দ্রুত অনেক টাকার মালিক হওয়ার লোভে তারা রাকিনকে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যাকাণ্ডটি ঘটায়।

Bootstrap Image Preview