বাংলার মানুষদের নৌকায় ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র এবং তার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে রাজনীতি করে তাদের মানুষ ভোট দেবে না। এ দেশের উন্নয়ন দেখতে হলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। কারণ গত ১০ বছরে এ দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন নৌকায় ভোট দিলে উন্নয়ন হয়।
রবিবার সকাল ১০টা ২ মিনিটে তিনি ঢাকা-১০ আসনের আওতাভুক্ত ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন জয়।
এসময় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার জয়ের বিষয়ে ‘শতভাগ আশাবাদী’ বলেও মত ব্যক্ত করেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
জয় বলেন, ‘বাংলার মানুষ উন্নয়নের লক্ষ্যে আজ দিনভর নৌকায় ভোট দেবে।’
তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘যারা এবার প্রথম ভোটার, তারা নৌকায় ভোট দেবেন।’
ফলাফলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফলাফল যেটাই হবে আমরা মেনে নেব।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া সহিংসতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত যে সহিংসতা করছে, এটা নির্মম। তারা বিদেশে প্রচুর লবিস্ট নিয়োগ করেছে, বাংলাদেশের নির্বাচনী সহিংসতার চিত্রগুলো বহির্বিশ্বে তুলে ধরার জন্য।’
সহিংসতা থামবে কবে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, ‘আজকের পর আর সহিংসতা থাকবে না। কারণ নির্বাচন তো শেষ হয়ে যাবে।’
এসময় ‘পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে’ বলেও অভিযোগ করেন জয়।
এর আগে গতকাল শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জয় বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আগামীকাল নির্বাচনে নৌকা মার্কা বড় জয়ের পথে। আমার আওয়ামী লীগের ভাই ও বোনেরা, একটি শান্তিপূর্ণ ও সফল নির্বাচন নিশ্চিত করাই আপনাদের মূল দায়িত্ব। সকল জনমত জরিপ বলছে বিএনপি-জামাত বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হবে। তাই তারা তৎপর নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। আমার ধারণা তারা নির্বাচন ব্যাহত করার ও ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করবে, এমনকি মাঝপথে নির্বাচন থেকে সরেও আসতে পারে। তাদের ফাঁদে পা দেবেন না। ভোট কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া পর্যন্ত আপনাদের নির্বাচনী দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।’