Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশ্বের নজর বাংলাদেশের দিকে, ভারতের নজরে জামায়াত!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:২২ PM
আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:৩৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


প্রতিবেশী ভারত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন পরিস্থিতি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক বিশ্বের নজর এখন বাংলাদেশের দিকে। আর জামায়াতের প্রার্থীদের দিকে বিশেষ নজর রাখছে ভারত। আর তারই প্রেক্ষিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত সরকার।

দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে বলছে, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে অধিকাংশ জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে।

প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় অঞ্চলের একটি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরেই জামায়াত নেতাদের সমর্থন দিয়ে আসছে বলে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে। এ কারণে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় জামায়াত প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়েই পর্যবেক্ষণ করছে দেশটির সরকার।

বাংলদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ২৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামীর ২৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২০ জনের নির্বাচনী এলাকা পশ্চিমবঙ্গের খুব কাছাকাছি। বাকি ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে দু'জন সিলেট থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

সিলেট ভারতের আসাম প্রদেশের কাছের একটি বিভাগ। জামায়াতের আরো দু'জন প্রার্থী কুমিল্লা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কুমিল্লা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সংলগ্ন। যুদ্ধাপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী পিরোজপুর জেলা থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পিরোজপুর ভারতের কলকাতা থেকে ১৬০ কিলোমিটারের মধ্যে। সীমান্তের কাছাকাছি জামায়াত প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারটিকে ভারত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বলে বিবেচনা করে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

এদিকে, কেন বাংলাদেশের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ এই শিরোনামে গত ২২ ডিসেম্বর একটি মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের দৈনিক দ্য হিন্দু। সেখানে ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে এসেছিল উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় ভারত।

দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে মন্তব্য প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অতটা সহজ হতো না। ডিডব্লিউ।

Bootstrap Image Preview