Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সেনা সরিয়ে নিতে ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি তালেবানের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:০২ PM
আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:০২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালেবান। তাদের হুমকি, আফগানিস্তান থেকে এখনই পাততাড়ি না গোটালে, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের মতোই হাল হবে যুক্তরাষ্ট্রের।

এ নিয়ে এক তালেবান কমান্ডার নাম গোপন রাখার শর্তে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এতদিন তারা এটাই চেয়ে আসছিলেন। শুক্রবার তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে অবশ্য এই ‘খুশি’র লেশটুকুও নেই।

‘ইতিহাস থেকে এবার অন্তত যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা নেয়া উচিত। সোভিয়েত ইউনিয়ন যেভাবে মুখ পুড়িয়েছিল, আশাকরি গোটা দুনিয়ার সে কথা মনে আছে। ভয়ঙ্কর টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যদিয়েও আফগানরা যে বীরত্ব এবং সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তাদের আর না ঘাঁটানোই ভালো। অন্যথায়, এর ফল ভুগতে হবে।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা অর্থনীতির আলোচনায় বসতে চায়। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি অন্য ছবিই দেখাচ্ছে। সম্প্রতি আবুধাবিতে সরাসরি আলোচনা এড়িয়েছে জঙ্গিরা। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়ে আসছেন ট্রাম্প। গত বছর আবার সেই অবস্থান থেকে পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে জানিয়েছিলেন, তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলবেই। তারপর ভোলবদল।

তবে আফগানিস্তান থেকে অর্ধেক সেনা সরানোর ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য, এখানে আর ১৪ হাজার সেনা রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। ১৪ হাজার থেকে কমিয়ে এখন সেখানে ৭ হাজারের বেশি সেনা রাখতে চাইছেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

উল্লেখ্য, প্রায় এক দশক আফগানিস্তান দখলে রাখার পর ১৯৮৯ সালে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। গৃহযুদ্ধে টালমাটাল সেই সময়েই তালেবানসহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থান হয় আফগানিস্তানে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পেন্টাগন এবং ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পরই ওসামা বিন লাদেনের খোঁজে আফগানিস্তানে সেনা পাঠায় আমেরিকা।

Bootstrap Image Preview