নির্বাচন বিধি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শেষ হয়েছে নির্বাচনের প্রচার। নেই কোনো হাঁকডাক ও প্রচার উৎসব। কেবল ভোটের অপেক্ষা। কে হবেন নড়াইল-১ ও ২ আসনের সাংসদ, তা নির্ধারণে প্রায় ৫ লাখ ২৩ হাজার ৬৭৩ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন কাল।
একদিকে সরকারি দল, অন্যদিকে মাঠের প্রধান বিরোধী দল। কোন শিবির থেকে উঠে আসবেন সাংসদ সে ফল পেতে এখনও রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে নড়াইলবাসীকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নড়াইল জেলাটি আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে খ্যাত। যে কারণে এ দুটি আসনে ১৯৯১ সাল থেকে অদ্যাবধি আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে আসছেন। এবারও আ’লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে চান।
অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট চায় বিজয় ছিনিয়ে এনে এ দুর্গে হানা দিতে। নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিএম কবিরুল হক মুক্তি ও বিএনপির বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সার্বিক পরিবেশে ও ব্যবস্থাপনায় সরকারদলীয় প্রার্থীদের কর্মীরা উচ্ছ্বসিত। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মীরা অজানা আতঙ্ক, গুজব বা পরাজয়ের ভয়ে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন।
গ্রামাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ২০-দলীয় জোটের কর্মী-সমর্থকরা নিরুত্তাপ। তারা এ ভোট নিয়ে তেমন কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন খান নিলু জানান, দুটি আসনেই আ’লীগের প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবেন।
দলীয় নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ ও তার ভক্তসহ মাশরাফির বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এ ছাড়া ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী এনপিপির চেয়ারম্যান এজেডএম ড. ফরিদুজ্জামানকে প্রচারে তেমন একটা দেখা যায়নি।