প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বর্নাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে পৃথিবীর ৮ম এবং এশিয়ার প্রথম পানি যাদুঘরের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
দিবসটি পালন উপলক্ষে শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে পানি যাদুঘর চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পানি যাদুঘর চত্বরে এসে শেষ হয়।
পরে স্থানীয় সুধী, গণমাধ্যমকর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে পানি যাদুঘর হলরুমে 'নদী ও পানি সম্পদ রক্ষায় নাগরিক উদ্যোগ' শিরোনামে এক অলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পানি যাদুঘর পরিচালনা পরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, আভাসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম, পানি যাদুঘরের ফেলো লিপি মিত্র, তৃনমুল নারী নেত্রী লাইলি বেগম প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, নদীকে রক্ষা এবং নদীর স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে সামাজিক আন্দোলন করতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং মানুষের জীবন-জীবিকায়নের জন্য নদী রক্ষার বিকল্প নেই। এসময় বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।
নদী ও পানিসম্পদ রক্ষায় সরকার ও নীতি নির্ধারকদের আরও উদ্যোগী করা, মানুষকে সচেতন করা এবং বাস্তবতাকে দৃশ্যমান করার মাধ্যমে নদী ও পানি সম্পদ রক্ষার আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে ২০১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর এশিয়ায় প্রথমবারের মত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পানি যাদুঘর।
আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা একশন এইড বাংলাদেশ'র আর্থিক সহায়তায় এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আভাসের সহযোগিতায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় (পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে) পাখিমারায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এ পানি যাদুঘর। নিদৃষ্ট দর্শনার্থী ফি’র বিনিময়ে দর্শনার্থীদের পরিদর্শনের জন্য স্থানীয় তৃনমূল সংগঠন উপকূলীয় জনকল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে পানি যাদুঘরের কার্যক্রম।
আভাসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম বলেন, পানি সম্পদ ও তার ব্যবহার সম্পর্কে সকল পর্যায়ের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ও সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষায় অধিক মনোযোগ আকর্ষণসহ জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও দারিদ্র বিমোচনে সহায়ক করতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে পানি যাদুঘর।
এখানে দেশি এবং আর্ন্তজাতিক প্রায় শতাধিক নদীর পানি সংরক্ষিত রয়েছে। প্রায় হারাতে বসা এবং হারিয়ে যাওয়া নদী কেন্দ্রিক জীবন জীবিকার নানা উপকরণ সংরক্ষিত আছে। আর্ন্তজাতিক অভিন্ন অনেক নদীর সুষম বন্টনের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে।