একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১দিন। মিছিল, পথ সভা, উঠান বৈঠকের পাশাপাশি প্রার্থীদের পক্ষে মাইকিং করেও চলচ্ছে শেষ সময়ের নির্বাচনী প্রচারণা।
তবে শরীয়তপুর-৩ (ভেদরগঞ্জ-ডামুড্যা-গোসাইরহাট) আসনে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাঠে থাকলেও বিএনপির প্রার্থীকে তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক আওয়ামী লীগের ও বিএনপির প্রার্থী নুরুদ্দিন আহম্মেদ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি এলাকার রাস্তায় রাস্তায় ঝুলছে নৌকা প্রতীকের পোস্টার। চলছে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও মতবিনিময় সভা। পৌরষভা ও ইউনিয়নগুলোর ওর্য়াড় ছাড়াও হাট-বাজারে নৌকার মিছিল-মিটিংয়ের সরগরম। নির্বাচনী ক্যাম্পে চলচ্ছে কর্মী-সমর্থকদের আড্ডা। কিন্তু ভিন্ন চিত্র বিএনপির প্রার্থীর। রাস্তায় চোখে পড়ে না ধানের শীষের কোনো পোস্টার। নেই নির্বাচনী ক্যাম্প ও নামানো হয়নি প্রচার মাইক।
এবিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসেম ঢালী বলেন, বিএনপি এখানে যাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে তার সুযোগ হয়ে ওঠেনি আমাদের সঙ্গে দেখা করার। এখন তাকে ফোনে পাওয়া যায় না। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে ঠিক করেনি। সাইদ আহম্মেদ আসলামকে দিলে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করতেন।
শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাভেদুর রহমান খোকা সিকদার বলেন, আমাদের এই অঞ্চলে সবসময় আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। এবারও নাহিম রাজ্জাক এমপি হলে আমাদের এলাকার উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। এলাকার নারী-পুরুষ সবাই তার পক্ষে কাজ করছে। নৌকার ভোট চাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নৌকা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।
এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নাহিম রাজ্জাক বলেন, বিএনপির প্রার্থী ঢাকায় থাকেন। তিনি এলাকায় কোনো প্রচার করছেন না। বিএনপি নালিশ পার্টি। তাই সর্বদা অভিযোগ করেন। তাদের নির্বাচনী কাজে আমরা কোনো বাধা দেয়নি। আমি শতভাগ নিশ্চিত বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব আমরা।
উল্লেখ্য, শরীয়তপুর-৩ আসনে ১৮টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। আসনটিতে মোট ভোটার দুইলাখ ৫৫ হাজার ২৯৫ জন (পুরুষ এক লাখ ২৯ হাজার ৫৮৯ ও নারী এক লাখ ২৫ হাজার ৭৪৬)। নতুন ভোটারসখ্যা ১৩ হাজার ৭৪৭ জন।