Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী মুহিবুরের শেষ নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত

পাভেল সামাদ, বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৩৮ AM
আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৩৯ AM

bdmorning Image Preview


সিলেট- ২ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, বিশ্বনাথের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান বলেছেন, বিগত পাঁচ বছরে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরে ব্যাপক দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তথাকথিত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী। যাকে কেউ ভোট দেয়নি।

তিনি সরকারি সকল বরাদ্দ ইচ্ছেমত লুটেপুটে খেয়েছেন। রাস্তা নির্মাণের জন্যে জনগণের কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা হারে ঘুষ নিয়েছেন। টিউবওয়েল প্রতি ১২/ ১৫ হাজার টাকা ও সৌরবিদ্যুৎ প্রতি ৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এক ভাই বিশ্বনাথে আরেক ভাই ওসমানীনগরে রীতিমত ঘুষের দোকান খুলে বসেছেন। এমপি পদে থেকে এসব কর্মকাণ্ড করে খুব বেশি মজা পেয়েছেন তাই ক্ষমতা হারাতে চাচ্ছেন না। 

তাই, চোরাই পথে ফের এমপি হতে যত রকম দুরভীসন্ধিমূলক কুকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। জনগণ এবার আর সেই সুযোগ তাকে দেবে না। সিলেট- ২ আসনের মানুষ আর ঘুষখোর সংসদ সদস্য চায় না। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একটি স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এটা নিশ্চিত। ওইদিন জনগণ ডাব প্রতিকে ভোট দিয়ে এই তথাকথিত এমপিকে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর থেকে চিরতরে বিতাড়িত করবে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের নতুন বাজারে নির্বাচনী কার্যালয়ের সম্মুখে অনুষ্ঠিত শেষ নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় মুহিবুর রহমান তার বক্তব্যে আরও বলেন, আমি সাদাকে সাদা, কালোকে কালোই বলি এবং বলবই। এ জন্যে কে কি বললো, তার ধার ধারি না। আমি নির্বাচিত হলে কারো প্রতিই অবিচার হবে না, সে যে দলেই হোক। সকলকে সাথে নিয়ে বিশ্বনাথ ও ওসমানী নগরে নবযুগের সূচনা করব। গ্রামকে শহরের সুবিধায় নিয়ে আসব।

তিনি তার ইশতেহারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরের যে সকল ইউনিয়নে ডিগ্রি কলেজ নেই, সেখানে ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। দুই উপজেলায় দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হবে। যে সমস্ত গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই, সেসব গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে এবং সেগুলো সরকারীকরণের উদ্যোগ নেয়া হবে। যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নেই, সেগুলোতে শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। শিক্ষিত বেকার যুবকদের জন্যে প্রশিক্ষণ পরবর্তী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যারা সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে চান, তাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে। সকল মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিনের চাকরি সরকারিকরণ ও মসজিদের বিদ্যুৎ বিল মওকুফের জন্যে সংসদে দাবি উত্তাপন করা হবে। শশ্বানঘাটের উন্নয়ন করা হবে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে একটি করে খেলার মাঠ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। পাকাকরণের আওতায় আনা হবে কাঁচা রাস্তাগুলো। কোথাও বাঁশের সাঁকো থাকবে না। প্রতিটি নদী, খাল-বিল খনন করা হবে।

প্রয়োজন অনুযায়ী স্থাপন করা হবে গভীর টিউবওয়েল। বেকার মহিলাদেরকে কারিগরী শিক্ষার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এছাড়া, সংস্কৃতির বিকাশের মাধ্যমে মাদক নির্মূল ও যুব সমাজের অবক্ষয় রোধ করা হবে।     
যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রবীণ মুরব্বী হাজী আবদুল আলীর সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এএইচএম ফিরোজ আলীর পরিচালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল ইসলাম, লামাকাজী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রইছ আলী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী নুরুজ্জামান, আ.লীগ নেতা মিজানুর রহমান সেলিম, যুবলীগ নেতা সিতার মিয়া, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সজল দাস প্রমুখ।

মুহিবুর রহমানের নির্বাচনী ইশতেহার পাঠ করেন, তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন। জনসভার পূর্বে মুহিবুর রহমানকে নিয়ে উপজেলা সদরে বিশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি সদরের পুরান ও নতুন বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। 
 

Bootstrap Image Preview