Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০২ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তরুণদের প্রথম ভোট হবে উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:৫৪ PM
আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:৫৪ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসেছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে উজ্জ্বল তরুণ-তরুণীরা। এসব তরুণরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে এবং উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষকেই বিজয়ী করতে উচ্চারণ করল নৌকার জয়গান। তারা ঘোষণা করল—তাদের প্রথম ভোট হবে উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। সামনে থেকে তাদের প্রাণিত করলেন অটিজম বিশেষজ্ঞ ও সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

একই সঙ্গে তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানালেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম ও তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর এবার তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। ‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ শিরোনামে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেন্টার ফোর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার বিকেলে দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় এক হাজার তরুণ-তরুণী উপস্থিত হয়েছিল বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে। ভিন্নধর্মী এ আয়োজনে অতিথিরা তরুণদের যেমন উৎসাহ দেন, তেমনি তরুণরা তুলে ধরে তাদের স্বপ্ন ও ভাবনা।

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তরুণ-তরুণীরা। ছেলে-মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। এ দেশকে আর কেউ পিছিয়ে রাখতে পারবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘পাকিস্তান নামের একটি দেশ আছে। সেখানে এক নারী লেখাপড়া করতে চাওয়ায় তার মাথায় গুলি করা হয়। আর আমাদের দেশে পড়ালেখায় মেয়েরা ইদানীং ছেলেদের থেকেও এগিয়ে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের ইশতেহারে শিক্ষায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হবে—এমন প্রতিশ্রুতিতে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আগামী বাজেটে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গবেষণা খাতে বাড়তি বরাদ্দ থাকছে। আমাদের দেশে অনেক ভালো গবেষক আছেন। কিন্তু ফান্ডিংয়ের অভাবে তাঁরা গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না। বাজেটে এই বরাদ্দ থাকায় এখন তাঁরা গবেষণা করতে পারবেন।’

একজন এ সময় প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লীগের ইশতেহারকে আপনি কত নম্বর দেবেন? উত্তরে জাফর ইকবাল বলেন, “আমার কোনো ছাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই ইশতেহার লিখলে তাকে ‘এ প্লাস’ দিতাম।” শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ বলতে কী মনে করছেন, এ খাতে বাজেট কত হলে সন্তুষ্ট হবেন—তরুণদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে মোট জিডিপির ২ বা ২.৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় হয়। এটি ৪ শতাংশ হলেই আমি সন্তুষ্ট।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে ইশতেহারে কিছু না থাকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তরুণদের জাফর ইকবাল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি নিজে নির্দেশনা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ পরীক্ষা ব্যবস্থার জন্য। তাঁর নির্দেশনা মানে অবশ্যই এটি করতে হবে। হয়তো এ বিষয়ে কাজও চলছে। আর সে কারণেই নতুন করে বিষয়টি ইশতেহারে সংযুক্ত করা হয়নি।’

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বলেন, ‘পৃথিবীর খুব কম দেশ আছে যারা অটিজম, মেন্টাল হেলথ বা প্রতিবন্ধীদের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম।

ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ আগামী পাঁচ বছরে কতটা উন্নতি করবে, তা কেউ কল্পনা করতে পারছে না। ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়ের লক্ষ্য প্রদান করা হয়েছে দুই হাজার ৭৫০ মার্কিন ডলার। বর্তমানে যে হারে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বাড়ছে, তা ভারতের থেকে তিন গুণ বেশি।

তারানা হালিম বলেন, ইশতেহার প্রতিশ্রুতি, প্রলোভন নয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন প্রতিশ্রুতি দেন, যা তিনি পালন করবেন।

উদ্যোক্তাদের জন্য এবারের ইশতেহারে দুর্দান্ত সব বিষয় আছে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সময় অর্থ কোথায় পাব, কোথা থেকে তথ্য পাব কিছু জানতাম না। তখন ঠকে, অর্থ ব্যয় করে আমরা শিখেছি।

তরুণদের জন্য ক্রীড়াক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ বড় ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘আমি ২০০৭ সালে যখন খেলা শুরু করি তখন দেশে ক্রীড়া অবকাঠামো তত উন্নত ছিল না। গত ১০ বছরে এই চিত্র পাল্টে গেছে। এখন যারা ক্রীড়াক্ষেত্রে ভালো করছে, তাদের পুরস্কৃত করছে সরকার। বর্তমান সরকার ক্রীড়াক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়ন করছে, বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে নতুন উচ্চতায়।’

Bootstrap Image Preview