Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শেষ মুহুর্তে জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:১৬ PM
আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৬:১৬ PM

bdmorning Image Preview


আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২ (কামরাঙ্গীরচর-সাভার-কেরাণীগঞ্জ) আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। টানা তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে তার মনোনয়ন নিশ্চিত করা অ্যাড. কামরুল ইসলামকে বিজয়ী করতে আসনটির নেতাকর্মীরাও একজোট হয়ে কাজ করছে।

এদিকে, নির্বাচনী প্রচার কাজ শেষ মুহুর্তে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। উন্নয়নের চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে নৌকায় ভোট চান তিনি। উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে, সমৃদ্ধির পথে দেশকে এগিয়ে নিতে নৌকার জন্য ভোট চান তিনি। ভোটের আগে কামরুল ইসলাম তার নির্বাচনী এলাকা কামরাঙ্গীরচর-সাভার-কেরাণীগঞ্জের প্রায় প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য নিরলস জনসংযোগ করছেন। কামরুল ইসলামে সমর্থকরাও প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তারা লিফলেট ও পোস্টার হাতে নিয়ে ঘরে ঘরে নৌকার প্রচার চালাচ্ছেন। তুলে ধরছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র।

এছাড়া আগামী সংসদ নির্বাচনে কামরুল ইসলাম জয়ী হলে এলাকার জন্য কি কি করবেন তাও জানান ভোটারদের।

সম্প্রতি ঢাকা-২ আসনের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিগত ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের পথে হেঁটেছে। এবার ক্ষমতায় এলে তার ব্যতিক্রম হবে না। তাই সমৃদ্ধির পথে থাকতে ঢাকা-২ আসনে আবারো নৌকার প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে।'

বিগত সময়ে ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালীন কামরাঙ্গীরচরে তিনি উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করেছেন। সুলতানগঞ্জ ইউনিয়নকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের অর্ন্তভুক্তকরণ (৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নং ওয়ার্ড), শেখ জামাল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত, স্কুল কলেজ ও মাদরাসায় ৬টি নতুন ভবন নির্মাণ, কামরাঙ্গীর চরে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন, স্কুল কলেজে ৩টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, প্রায় ৯৯ কিলোমিটার রাস্তা, ৯৫ কিলোমিটার পাইপ লাইন ও তিন কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ, ১৫ একর জমির উপর ৩১ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল নির্মাণ, বেজমেন্ট সহ ৫ তলা বিশিষ্ট অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম কমিউনিটি সেন্টার ও মার্কেট নির্মাণ, সমগ্র কামরাঙ্গীর চরে ছিন্নমূল মানুষের আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকা-২ আসন (কামরাঙ্গীরচর-সাভার-কেরাণীগঞ্জ) থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।

তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। নবম জাতীয় সংসদে তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। দশম জাতীয় সংসদে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

উল্লেখ্য, ঢাকা-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুল ইসলাম, বিএনপির প্রার্থী ইফরান ইবনে আমান আমি, গণফোরামের প্রার্থী মোস্তাফা মহসিন মন্টু, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাকিল আহম্মেদ শাকিল, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো.জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী সুকান্ত শফি চৌধুরী ভোটের লড়াইয়ে।

Bootstrap Image Preview