আর মাত্র তিন দিন পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায়। আজকের পর আর প্রচার-প্রচারণার দিন পাচ্ছেনা প্রার্থীরা। তাই গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে ওয়ার্কাস পার্টি ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের মনোনীত প্রার্থী ছামিউল আলম রাসু জোড় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়া সকল দলের প্রার্থীরাও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘন্টা আগ থেকে সব ধরনের প্রচার বন্ধ থাকার বিধান রয়েছে।
আরপিওর ৭৮ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে এবং ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর কোনো ব্যক্তি, প্রার্থী বা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত কেউ নির্বাচনী এলাকায় কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ আয়োজন বা এতে যোগ দিতে পারবেন না।
সে অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১ জানুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল এবং শোভাযাত্রা করা যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তৃনমূল মানুষের কাছে গিয়ে কোদাল মার্কায় ভোট ও দোয়া চেয়েছেন ছামিউল আলম রাসু।
প্রচারণা সময় তিনি জনগণের কাছে গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সবধরণের সমস্যার কথা জনগনের কাছে তুলে ধরেন এবং সমস্যাগুলো সমাধানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের প্রতুশ্রুতি দেন।
সুষ্ঠ নির্বাচন হলে শতভাগ জয়ের আশাবাদী উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ আসনে যদি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে শতভাগ আমার বিজয় আশা করা যায়। আমি এ আসনের সব ধরণের মানুষের কাছে গিয়েছি এবং তাদের সাথে কথা বলেছি তারা গোবিন্দগঞ্জের উন্নয়ন চায়। আমি নির্বাচিত হলে আশা করে গোবিন্দগঞ্জের চিত্র বদলে দিতে পারবো।