ইসলামিক স্টেট (আইএস) কর্মী সন্দেহে বুধবার (২৬ ডিদিসেম্বর) ১০ জনকে আটক করেছে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।
ধারণা করা হচ্ছে, এই আইএস কর্মীরা ভারতের বড় বড় স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এরা দিল্লি পুলিশ হেডকোয়ার্টারে আঘাত হানার পরিকল্পনা করেছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে এনআইএ। সব মিলিয়ে ১৬টি স্থানে তল্লাশি চালিয়ে ওই ১০ জনকে আটক করা হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ওই দশজন 'হরকাত উল হার্ব-ই ইসলাম' -এর অনুসারী। গ্রেফতার হওয়া ৫ জন দিল্লির এবং বাকিরা উত্তর প্রদেশের। এদের মধ্যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, অনার্সের শিক্ষার্থী, কারখানার শ্রমিক এবং রিক্সাচালক আছেন। সম্প্রতি আঞ্চলিকভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারা।
আটকদের মধ্যে এই গ্রুপটির নেতা মুফতি হাফিজ সোহেলও আছেন। তাকে দিল্লির জাফরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গেছে, তিনি দেশের বাইরের কারও কাছ থেকে পরামর্শ পাচ্ছিলেন। তবে ঠিক কার কাছ থেকে পরামর্শ আসছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
আটকদের কাছ থেকে ভারতের তৈরি একটি রকেট লাঞ্চার পাওয়া গেছে। এছাড়া বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, রিমোট কন্ট্রোল বিস্ফোরক এবং টাইম বোমা তৈরির কাজে ব্যবহৃত ১০০ টিরও বেশি এলার্ম ঘড়ি, ১২টি পিস্তল এবং ১৫০ রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়।