ইন্দোনেশিয়ার আনাক ক্রাকাতাউ আগ্নেয়গিরির সতর্কতা দ্বিতীয়বার সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেয়া হয়েছে। বেশ কয়েকবার লাভা উদগিরণের পর এই সতর্কতা জারি করা হয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, আগ্নেয়গিরির আশেপাশের সব ফ্লাইটের পথ পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট ৫ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি) বলছে, সতর্কতা দ্বিতীয় স্তর থেকে তৃতীয় স্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটাই দ্বিতীয় পর্যায়ের সর্বোচ্চ স্তর।
শনিবার (২২ ডিসেম্বর) এই আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাতের ফলে দেশটিতে সুনামি আঘাত হানে। এতে অন্তত ৪৩০ জন নিহত হয় এবং অসংখ্য জন আহত হয়। এছাড়া অনেকেই এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
আনাক ক্রাকাতাউ আগ্নেয়গিরির সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে বিএনপিবি বলছে, এর লাভা উদগিরণের মাত্রা বাড়ছে। ভলকানোলজিকাল অব ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তারা এমনটি জানায়।
সংস্থাটি আরও জানায়, এখনও লাভা উদগিরণ হচ্ছে। বিপজ্জনক এলাকা ২ কিলোমিটার থেকে ৫ কিলোমিটারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ৫ কিলোমিটার অঞ্চলের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার জনগণ ও পর্যটকদের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ।