ঠাকুরগাঁও পৌরসভার বসিরপাড়া এলাকায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে প্রচারে নেমে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম এবং মেয়ে মির্জা শামারুহ।
বুধবার দুপুরে ফখরুলের বাসায় জেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা। এ সময় জেলা বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুলের স্ত্রী অভিযোগ করেন, স্থানীয় ছাত্রলীগের ৮/১০ জন নেতাকর্মী রামদা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা নেতাকর্মীদের সহায়তায় কোনো রকম প্রাণে বেঁচে আসেন।
ফখরুলের স্ত্রী বলেন, ‘আমি জীবনে কখনো এরূপ অবস্থার সম্মুখীন হইনি। কোথাও যেতে পারব না, কারো কাছে ভোট চাইতে পারব না-এটা হতে পারে না। এ ধরনের নির্বাচন আমরা কেউ চাই না।’
সংবাদ সম্মেলনে রাহাত আরা বেগম নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যারা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় হামলা চালিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে তাদের সামলান। না হলে এই নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না। কমিশন এবং প্রশাসনের উদ্দেশ্য বলেন যারা হামলা চালাচ্ছে তাদেরকে সামলান।
ফখরুলের বাসায় জেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান। তিনি ধানের শীষের কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি ও গ্রেপ্তারের চিত্র তুলে ধরেন।
এর এক ঘণ্টা পর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন কলেজপাড়ার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে ফখরুলের স্ত্রী-মেয়ের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সেখানে রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, ‘ধানের শীষের কর্মীরা সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে, ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে।’