কমলগঞ্জ উপজেলার বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। যতই দিন এগোবে জেঁকে বসবে শীত, এমন আভাস মিলেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস থেকে।
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় একই সাথে জনদুর্ভোগও বাড়তে শুরু করেছে। চা বাগান অধ্যুষিত এই অঞ্চলে ব্যাপক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে চা বাগানে বসবাসকারী চা শ্রমিকদের ও দরিদ্র মানুষদের। সকালের দিকে গাছের পাতা, লাকড়ি কুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন চা বাগান এলাকার চা শ্রমিকেরা।
তাছাড়া বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমজীবী মানুষেরা ভোরবেলা তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন বাগান থেকে ঠেলাগাড়িতে করে লেবু ও আনারস নিয়ে শহরে আসেন বিক্রি করার জন্য।
কমলগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শীত নিবারণের ব্যবস্থা না থাকায় শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে বেশ কষ্ট পেতে হচ্ছে বাগানে বসবাসরত শ্রমজীবীদের।
কথা হয় চা শ্রমিক ভজন বাউড়ির সাথে। তিনি জানান, টাকা-পয়সার অভাবে শীতবস্ত্র কিনতে পারছেন না বাগানের অসহায় চা শ্রমিকরা। শীতবস্ত্রের অভাবে প্রাত্যহিক ভোরে শীতের তীব্রতার জন্য কাজে যেতে অনেক কষ্ট পোহাতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে ঋতু পরিবর্তনের এ সময়টাতে কমলগঞ্জ রোগব্যাধির প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। রোগব্যাধিতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন, ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধবয়সী পর্যন্ত সবাই। সর্দি-কাশি বা কমন কোল্ডের প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণেই এ সময়টাতে সর্দি-কাশির প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে।