Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:১৭ PM
আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:১৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


আবারও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এবার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে দেশটির ১৬ ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ওই ব্যক্তিরা রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জিআরইউয়ের বর্তমান ও সাবেক সদস্য।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বুধবার এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মনুচিন এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন।

‘আন্তর্জাতিক মূল্যবোধের প্রতি রাশিয়ার অব্যাহত অশ্রদ্ধা’র কারণে এ নিষেধাজ্ঞা বলে জানান তিনি। খবর সিএনএনের।

নিজেদের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে জড়িত থাকা, ওয়ার্ল্ড এন্টি-ডোপিং সংস্থায় হ্যাকিং করায় এবং বিশ্বব্যাপী অন্যান্য ‘ক্ষতিকর তৎপরতায়’ জড়িত থাকায় রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার ১৬ সদস্যের বিরুদ্ধে এবং চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, তারা বৃহৎ অ্যালুমিনিয়াম কোম্পানি রুসাল ও রুশ ধনকুবের অলেগ দেরিপাসকার সঙ্গে যুক্ত দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পথেও অনেক দূর এগিয়েছে।

নতুন এ নিষেধাজ্ঞাকে ‘শক্তিশালী পদক্ষেপ’ বলছেন রাশিয়ার ওপর মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপ নীতির সঙ্গে জড়িত মাইকেল ডবসন। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে ক্ষতিকর কার্যক্রমে রাশিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা ও তাদের ভূমিকার ওপর থেকে চোখ সরায়নি (ট্রাম্প) প্রশাসন। আমার মনে হয় এটি (নিষেধাজ্ঞা) সত্যিকার অর্থেই শক্তিশালী পদক্ষেপ।’

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন অ্যালেকসেয়েভিচ বোয়ারকিন। তিনি জিআরইউয়ের সাবেক কর্মকর্তা।

এছাড়া জিআরইউয়ের আরও দুই সদস্য আলেক্সান্ডার পেট্রোভ এবং রুশলান বোসিরোভ যুক্তরাজ্যে সেরগেই স্ক্রিপালকে গুপ্তহত্যার চেষ্টায় জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

রাশিয়ান ট্রোল ফার্মের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আরও দুই ব্যক্তি এবং তিন কোম্পানিকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হয়েছে। বুধবার আরোপ করা এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সব সম্পদ জব্দ করা হবে এবং কোনো মার্কিন নাগরিক তাদের সঙ্গে কোনো ব্যবসা বা লেনদেন করতে পারবেন না।

এদিকে আরেকটি সম্ভাব্য শাটডাউন বা সরকারের অচলাবস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বাঁচাল মার্কিন সিনেট। সরকার অচল হয়ে যাওয়ার একদিন আগেই বুধবার স্বল্পমেয়াদি সরকারি ব্যয় বিল পাস করেছে মার্কিন কংগ্রেসের এ উচ্চকক্ষ। জরুরি এ বিলটি পাস না হলে আজ শুক্রবারের শাটডাউনের কবলে পড়ত সরকারের বেশ কিছু বিভাগ।

নতুন করে বিল পাস হওয়ায় আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবেই অব্যাহত থাকবে। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীন নির্মাণ বিলটি এবারও আটকে গেছে সিনেটে। এটাকে ট্রাম্পের জন্য একটা পরাজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর এএফপির।

অভিবাসন ও মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ প্রশ্নে বারবার সরকার অচল করে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন ট্রাম্প।

এটাকে নিজের দাবি পূরণের হাতিয়ার করেছেন তিনি। এর আগে তার আমলেই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিল পাস না হওয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো অচল হয়ে যায় সরকার। প্রাচীর নির্মাণের অর্থ দিতে বিরোধী দলের সদস্যরা রাজি না হলে এবারও সরকার ‘শাটডাউন’ করবেন বলে হুমকি দেন ট্রাম্প।

গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেটিকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা ন্যান্সি পেলোসি ও সিনেটের রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা মিচ ম্যাককনেলের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, প্রাচীন নির্মাণ অর্থ পেতে যদি সরকার অচল হয়, তাতেই খুশি হবেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেয়াল নির্মাণ ইস্যুতে পিছু হটেন।

হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, বাজেট বরাদ্দ প্রশ্নে মতভেদ নিয়ে সরকারের কাজকর্ম বন্ধ হোক, তা তারা চায় না। এক বিবৃতিতে বলা হয়, ডেমোক্র্যাটরা যদি এই কাজে প্রেসিডেন্টকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দে অসম্মত হন, তাহলে ভিন্ন সূত্র থেকে তিনি সেই অর্থ সংগ্রহ করবেন।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে তার দলের নেতারা হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। ফলে বুধবার সহজে পাস হয়ে যায় ব্যয় বরাদ্দ বিল। সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন, আগামী ৮ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রাপ্তিতে আর বাধা রইল না।

Bootstrap Image Preview