শ্রীলংকায় ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। বৃহস্পতিবার সিরিসেনা মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে রনিল বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্বহালের কয়েক দিনের মাথায় নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হলো। ২৬ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহকে বরখাস্ত করে রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন। রয়টার্স।
রোববার নতুন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বরখাস্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। তবে পার্লামেন্টে বিরোধী দল নিয়ে ঝামেলার কোনো সুরাহা হয়নি। খবর রয়টার্সের।
বিক্রমাসিংহের মন্ত্রিসভা ঘোষণা করা হলেও আইনশৃঙ্খলা মন্ত্রণালয় নিজের কাছেই রেখেছেন সিরিসেনা। এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে রজিথা সেনারত্নে ও মানগালা সামারাবিরাকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
রজিথা সেনারত্নে বলেন, তাকে হত্যাচেষ্টা বিষয়ে সুরাহা এবং কিছু সংস্কার করার পূর্বপর্যন্ত সাময়িকভাবে আইনশৃঙ্খলা মন্ত্রণালয় নিজের কাছে রেখেছেন প্রেসিডেন্ট।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সামরাবিরার প্রথম কাজ হবে আগামী ১ জানুয়ারি সরকারি অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়া বা শাটডাউন রোধে একটি সাময়িক বাজেট পাস করা।
উল্লেখ্য, অক্টোবরের শেষদিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। কিন্তু রাজাপাকসে পার্লামেন্টের সমর্থন না পাওয়ায় শ্রীলংকায় রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়।
দেশটির পার্লামেন্টে মঙ্গলবার বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। এদিন পার্লামেন্ট অধিবেশনে ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়ান্সের (ইউপিএফএ) সংসদ সদস্য হিসেবে তাকে বিরোধী দলের নেতার স্বীকৃতি দেন স্পিকার কারু জয়সুরিয়া।
স্পিকারের এ সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলেছেন তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়ান্সের (টিএনএ) প্রধান আর সাম্পানথান। আগে থেকেই পার্লামেন্ট স্বীকৃত বিরোধীদলীয় নেতা তিনি। সাম্পানথানের বক্তব্য, ‘তাকে বিধিসম্মতভাবে না সরিয়েই রাজাপাকসেকে মনোনীত করেছেন স্পিকার।
ফলে পার্লামেন্টে এখন কার্যত বিরোধী নেতা দু’জন।