মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে নামকরণ করা হয়েছে একটি কীটের। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতকে অস্বীকার করায় কীটটির নামকরণ করা হয়েছে 'ডারমোফিস ডোনাল্ডট্রাম্পি'।
গার্ডিয়ানের মতে, পানামায় সন্ধান পাওয়া প্রাণিটির নামকরণ করেছেন এনভাইরোবিল্ড নামের টেকসই ও পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী কম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা আইডেন বেল। এ জন্য নিলামে ২৫ হাজার ডলার খরচ করেছেন তিনি।
কম্পানির ফেসবুক পেইজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়েছে, 'পাতলা ছোট কীটটি পুরোপুরি দেখতে পায় না। মুহূর্তের মধ্যে এটি মাটি বা বালিতে মাথা ঢুকিয়ে দিয়ে অবস্থান করে।'
ট্রাম্পের সঙ্গে কীটটির তুলনা করে বেল বলেন, 'প্রাণিটির মতো বালিতে মাথা গুঁজে থাকার কারণেই ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতকে অস্বীকার করছেন।' ট্রাম্পের পরিবেশগত সমস্যাগুলো না দেখা এবং তাঁর অলস দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ট্রাম্পের নামেই এমন নামকরণ করা হয়েছে এর।
এইডান বেল আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতা ডারমোফিস ডোনাল্ডট্রাম্পির কম। তাই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে প্রণীত নামমাত্র নীতিমালার ফলে প্রাণিটি বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
কমন ড্রিমস নামের একটি সংস্থার মতে, ১০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ কীটটি একটি উভচর প্রাণি। শেসিলিয়ান প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত এটি। শেসিলিয়ান শব্দটি ল্যাটিন শব্দ শেসাস থেকে এসেছে যার অর্থ 'অন্ধ'। যদিও একেবারেই অন্ধ নয় এটি। কেবল হালকা সাদা ও কালো শনাক্ত করতে পারে।
কম্পানিটি যে ২৫ হাজার ডলার খরচ করেছে তা রেইনফরেস্ট ট্রাস্ট নামের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হবে বলে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি ট্রাম্প কেবল অস্বীকারই করেননি, এ নিয়ে দীর্ঘ প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিশ্বজুড়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা কীভাবে তীব্রতর হচ্চে তা নিয়ে গত নভেম্বরে একটি প্রতিবেদন তৈরি হলে ট্রাম্প তা বাতিল করে দেন। তিনি এ সময় মন্তব্য করেন, তিনি ওইসব 'বিশ্বাসীদের' মধ্যে নেই যারা জলবায়ু পরিবর্তনকে একটি চাপ হিসেবে দেখেন।