ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল আরেফিনের বিরুদ্ধে সত্য গোপন করে নিজের ছোট ভাইয়ের নিয়োগ বোর্ডে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) প্রশাসন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নৈতিকতা বিরোধী কাজের অভিযোগ এনে ইবির ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর রশিদ আসকারী বরাবর (গত ১৮ ডিসেম্বর) একটি চিঠি দিয়েছে।
এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন উর রশিদ আশকারি বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি চিঠি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি খুবই বিব্রতকর এবং লজ্জাজনক। আমি প্রশাসনের অন্য কর্তা ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলে বিধি অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেব।
কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে (গত ২৯ অক্টোবর) প্রভাষক পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিয়োগ বাছাই বোর্ডে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল আরেফিন বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ওই নিয়োগ বোর্ডে নিয়োগ নির্বাচনী পরীক্ষায় তার আপন ছোট ভাই ড. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।
এদিকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রচলিত নীতিমালা অনুযায়ী তিনি তার ভাইয়ের বিষয়টি আগে থেকে না জানিয়ে ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ায় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যিালয়ের (৮ ডিসেম্বর) ৬২তম সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হলে সভায় প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল আরেফিনকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে বিষয়টিকে গর্হিত অন্যায় ও নৈতিকতাবিরোধী কাজ বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল আরেফিন কর্তৃক এ ধরনের কাজের জন্য তাকে উক্ত নিয়োগ বাছাই বোর্ড হতে অব্যাহতি দেয় এবং তাকে ভবিষ্যতের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো ধরনের কার্যক্রমের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল আরেফিন শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে তার আপন ছোট ভাই এর বিষয়টি না জানিয়ে গোপন রাখে অন্যায় ও নৈতিকতা বিরোধী কাজ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬২তম সিন্ডিকেট সভায় এ নিয়োগ বাছাই বোর্ড হতে তাকে অব্যাহতি দেয় এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল আরেফিন এর ভাই নিয়োগে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত না হওয়ায় ওই বাছাই বোর্ডের সুপারিশ বাতিল করা হয়নি।