Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সমগ্র দেশে নির্বাচনের অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে: সিইসির দাবি

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:১৩ PM
আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:১৩ PM

bdmorning Image Preview


জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুবাতাস ও একটি অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচনমুখী আচরণ লক্ষ্য করা গেছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

কে এম নূরুল হুদা বলেন, আমাদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে যে সকল কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারা সক্ষমতার সঙ্গে, সার্থকতার সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে অবশ্যই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আমরা প্রশিক্ষণের এমন কোনো স্তর বাদ রাখিনি, যে কারণে মাঠপর্যায়ে গিয়ে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের কোনো ঘাটতি থাকে।

নূরুল হুদা বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি যে সমগ্র দেশে নির্বাচনের একটি সুবাতাস, আবহ, একটি অনুকূল আবহ সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচনমুখী আচরণ লক্ষ্য করা গেছে। নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রার্থীদের মধ্যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে এবং তাদের কর্মকাণ্ডের মধ্যে তা প্রতিফলিত হচ্ছে। তাঁরা অনবরত সভা-মিছিল করে যাচ্ছেন এবং প্রার্থীরা তাঁদের ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন। সুতরাং দেশব্যাপী নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর মাধ্যমে একটা নতুন সরকার গঠন হবে ৩০ তারিখের পরে, সেটার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

মাঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ সিইসি বলেন, আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি যে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেটার নিয়ামক হিসেবে আপনারা যে যার অবস্থান থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

সিইসি আরো বলেন, নতুন কতগুলো দিক নিয়ে এ বছর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ইভিএমের কথা বলা হয়েছে। অন্য সব প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আরেকটি নতুন যোগ হয়েছে, সেটি হলো প্রার্থীদের যে এজেন্ট কেন্দ্রে থাকবেন, সেই পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। আমরা তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেব। তারা তাদের এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেবে। এটার উদ্দেশ্য ছিল এর মাধ্যমে নির্বাচন কার্যক্রমের যে নীতি, আচরণবিধি, নির্বাচন পরিচালনা বিধি, পোলিং বুথের ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক অবস্থা এসব ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে পোলিং এজেন্টদের ধারণা দেওয়া।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এক বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়ে ধীরে ধীরে আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাই। ৩০ তারিখে সেটার শেষ দিন। সেদিন প্রার্থী, সমর্থক এবং ভোটাররা ভোট দেবেন। ভোট নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি আমানত। সেই আমানত, সেই ভোটের ফলাফলগুলো বিশ্লেষণ এবং বিতরণ করার জন্য আপনাদের হাতে চলে যাবে। সুতরাং এই বছরব্যাপী পরিশ্রম এবং বছরব্যাপী প্রস্তুতির ফসল আপনাদের হাতে চলে যাবে। এই ফসল যাতে কোনো রকমের ভুল ত্রুটির মাধ্যমে প্রার্থীদের অবস্থান নির্ধারণে ব্যাঘাত না ঘটে, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নির্বাচনের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে কে এম নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ হয়ে রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নং, প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে চলে গেছে। এসব দেখভাল করার জন্য কতগুলো কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এসর কমিটির একটি হচ্ছে- ইলেকটোরাল ইনকুয়ারি কমিটি। সারাদেশে ১২২টি ইনকুয়ারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সারাদেশে নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হলে, আচরণবিধি ভঙ্গ হলে অথবা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো আইন বিচ্যুতি কর্মকাণ্ড ঘটলে সেগুলো সংশোধন করবেন। তারা অনুসন্ধান করবেন ও ব্যবস্থা নেবেন।

Bootstrap Image Preview