নীলফামারীর ডিমলায় সুরুভী নামে এক কলেজছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে বাড়িতে নিয়ে যায় প্রমিকা। পরে বিয়ে দিতে অনীহা জানায় প্রমিকার বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় একাধিকবার সমঝোতার চেষ্টা করা হয়। সমাধান না হওয়ায় ওই ছাত্রীকে পিটিয়ে হত্যার পর হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে যায় প্রেমিকের বাড়ির লোকজন বলে জানা যায়।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সোভানগঞ্জ বালাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন নিহত ছাত্রীর প্রেমিক আরফানের বাবা উপজেলার সোভানগঞ্জ বালাপাড়া গ্রামের মৃত জয়নালের ছেলে আফজাল হোসেন (৫৫), তার মামা ফয়মুদ্দিনের ছেলে খুশিয়ার রহমান (৪৮)ও মফিজ উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান (৩২)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, জেলার ডোমার উপজেলার মেলাপাঙ্গা গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের মেয়ে ও নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুরুভী আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সোভানগঞ্জ বালাপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে আরফান আলীর (২২) তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।
এদিকে নিহতের বাবা আব্দুস ছাত্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘আরফানের পরিবার আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি দোষীদের বিচার চাই।
অপরদিকে অভিযোগের বিষয়ে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল হকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার দুপুরে ডিমলা হাসপাতাল থেকে সুরুভীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলার নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সুরুভীর পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’