ভারতের গুজরাটের রাজকোট মহানগরাঞ্চলের গান্ধীধাম এলাকায় স্বামী প্রহ্লাদ জানতে পারেন স্ত্রীর আছে ৩ প্রেমিক।বিশ্বাসভঙ্গের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই শুরু হয় হেনস্থা আর হুমকি। এই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে নিজেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে আত্মহত্যা করেন তিনি।
প্রহ্লাদের মৃত্যুর তিন মাস পরে অবশেষে তার স্ত্রী ও ৩ প্রেমিককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মাস তিনেক আগে নিজেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে আত্মহত্যা করেন প্রহ্লাদ। তখন এটি আত্মহত্যা বলেই মনে করেছিল পুলিশ। কিন্তু সন্দেহ কাটেনি প্রহ্লাদের বাড়ির লোকের। হাসিখুশি একটি যুবক হঠাৎ নিজেকে ইলেকট্রিক শক দেওয়ার মতো ভয়াবহ সিদ্ধান্ত কেন নেবে, সেই প্রশ্ন তাদের তাড়া করে বেড়ায়। প্রহ্লাদের জামাইবাবু লালজির সন্দেহ যায় প্রহ্লাদের স্ত্রীর ধনবাই মহেশ্বরীর ওপর। স্বামীর মৃত্যুর পর তরুণীর চালচলন খুব একটা স্বাভাবিক মনে হয়নি তাদের। পুলিশে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেন লালজি।
লালজির অভিযোগের ভিত্তিতে আবার তদন্ত শুরু করে ধনবাইয়ের ৩ প্রেমিকের সন্ধান পায় পুলিশ। তারা হলেন- নরসিংহ কোলি, রবিশংকর মহেশ্বরী এবং মহেশ মহেশ্বরী। তারপরই জানা যায় যে প্রহ্লাদ তার স্ত্রীর তিন প্রেমিকের কথা জানার পরই তাকে হুমকি দিতে থাকে ধনবাই, নরসিংহ, রবিশংকর এবং মহেশ। সঙ্গে থাকে হেনস্থা। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েই আত্মঘাতী হন প্রহ্লাদ।