সংখ্যালঘু দিবসকে কেন্দ্র করে আজ সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন, বেঙ্গল বুদ্ধিস্ট এসোসিয়েশন, বঙ্গীয় খ্রিস্টীয় পরিসেবা ও শিখ মিশনের যৌথ উদ্যোগে সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। সংখ্যালঘু দিবসকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতায় এক আলোচনা সভায় ভাষণ দেয়ার সময় ওই দাবি জানান সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।
কোলকাতার বৌদ্ধ সভাঘরে অনুষ্ঠিত ওই সভায় মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, দীর্ঘ ৩৪ বছর পরে সংখ্যালঘু শিখবিরোধী ভয়াবহ দাঙ্গায় জড়িত অপরাধীদের সাজা হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা আশা করছি এভাবে গুজরাটে মুসলিম গণহত্যার বিচার হবে এবং অপরাধীরা শাস্তি পাবে।’
ওই আলোচনাসভায় বঙ্গীয় খ্রিস্টীয় পরিষেবার সভাপতি হেরোদ মল্লিক বলেন, ‘বর্তমান ভারতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার সংকট দেখা দিয়েছে। গেরুয়া বাহিনী প্রকাশ্যে সংখ্যালঘুদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। দেশের প্রশাসন এই তাণ্ডবকারীদের কাছে আত্মসমর্পণ করছে এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের!’
হেমেন্দু বিকাশ চৌধুরী বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের অধিকার কাগজপত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে সংখ্যালঘুদের প্রতিষ্ঠান চালানোর স্বাধীন অধিকারটুকুও বিভিন্নভাবে সঙ্কুচিত করা হচ্ছে। গয়ার বৌদ্ধ মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব হিন্দু জেলাপ্রশাসক ছাড়া অন্যকে দেওয়া হয় না বলে উল্লেখ করে তিনি এ নিয়ে আক্ষেপ করেন।
এছাড়াও বঙ্গীয় খ্রিস্টিয় পরিসেবার সভাপতি হেরদ মল্লিক, বেঙ্গল বুদ্ধিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি হেমেন্দুবিকাশ চৌধুরী, শিখ মিশনের উত্তর ভারতের সম্পাদক জগমোহন সিং গিল, দলিত নেতা শরদিন্দু বিশ্বাস, মাওলানা আনোয়ার হোসেন কাশেমি, সমাজসেবী কামরুল চৌধুরি, খলিল মল্লিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।