Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী দুর্নীতি ছাড়া কিছুই উপহার দিতে পারেননি: মুহিবুর রহমান

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:১১ PM
আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:১১ PM

bdmorning Image Preview


'বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে অদৃশ্য কারণে পরাজিত করা হয়। সেই নির্বাচনে মহাজোট থেকে নির্বাচিত ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরবাসীকে দুর্নীতি ছাড়া কিছুই উপহার দিতে পারেননি।'

গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করতে গিয়ে সিলেট-২ আসনে জাতীয়া পার্টি মনোনিত ও মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী, বর্তমান সংসদ সদস্য ইয়াহ্ইয়া চৌধুরীকের উদ্দেশে এসব কথা বলেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের নতুন বাজারে তার কার্যালয়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সর্থকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময়ে বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, পাঁচ বছরে তিনি এলাকার উন্নয়নে আসা সরকারী বরাদ্দের শতভাগই আত্মসাৎ করেছেন। এক কিলোমিটার রাস্তা প্রতি তিনি ও তার এক ভাই ৬ লক্ষ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। অস্বচ্ছল মানুষদের কাছ থেকে ১৫/২০ হাজার টাকা নিয়ে গভীর নলকূপ দিয়েছেন। এমনকি, আমার নিজ এলাকার একটি মাদরাসা এমপিওভুক্ত করে দিতে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষও দাবি করেন এই সংসদ সদস্য।

এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনে আওয়ামী লীগের দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মহাজোট থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। দুই চৌধুরীতে আ.লীগ দুই ভাগ থাকলেও এ ব্যাপারে সবাই একমত হন যে, এ আসনে আর লাঙ্গল প্রতিকে ভোট প্রয়োগ করা যাবে না। কারণ, বিগত দশ বছরে এলাকার ভোটার সমর্থকেরা ভুলে যেতে বসেছে যে, এই আসনটি নৌকার ঘাটি। এই নৌকা উদ্ধারে দুই উপজেলাবাসী আমাকে চায় হিসেবেই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমাকে মনে করতে পারেন বিদ্রোহী। কিন্তু এ বিদ্রোহ সে রকম বিদ্রোহ নয়। আক্ষরিক অর্থে আমি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে এ আসনে নির্বাচন করছি।

নির্বাচিত হলে সিলেট-২ আসনকে ঘুষ-দুর্নীতি ও দালালমুক্ত করে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাবেন জানিয়ে মুহিবুর রহমান আরও বলেন, জনগণ যদি সহযোগিতা করেন আর সরকার থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ মেলে, তাহলে আগামী পাঁচ বছরে এতদঞ্চলকে উন্নয়নের চরম শিখরে পৌঁছানো সম্ভব। যেভাবে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা পুরো দেশকে উন্নয়নের চরম শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন। আমি পরিকল্পিতভাবে শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান করতে চাই।

Bootstrap Image Preview